ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য কাটা পড়ল একাধিক গাছ, অভিযোগ বুনিয়াদপুরে - CPIM

বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে 4 মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হওয়ার কথা রয়েছে ৷ সেই মাঠ সংস্কারের নামে তৃণমূল শিবির কৃষি দপ্তরের অধীন বড় বড় গাছ কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পরিবেশ প্রেমীরা ৷ হরিরামপুরের CPIM বিধায়ক ই-মেল করে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন ।

cutting trees for cm meeting
মুখ্যমন্ত্রী
author img

By

Published : Feb 22, 2020, 11:49 AM IST

বুনিয়াদপুর, 22 ফেব্রুয়ারি : জেলা সফরে আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৷ এলে নিশ্চয়ই সভাও করবেন ৷ আর সে কথা মাথায় রেখেই কেটে ফেলা হল বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠ সংলগ্ন একাধিক বড় গাছ । যা নিয়ে সরব হলেন স্থানীয় CPIM বিধায়ক থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমী একটি সংঠন ৷ বিশ্ব উষ্ণায়ণের যুগে গাছ লাগানোই যখন দস্তুর, তখন মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় আসবেন বলে বৃক্ষছেদন মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই । ইতিমধ্যে হরিরামপুর বিধানসভার CPIM বিধায়ক রফিকুল ইসলাম ই-মেল মারফত জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ।

বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে আগামী 4 মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সভা হওয়ার কথা রয়েছে ৷ তার আগে তৃণমূল শিবির ওই মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে । অভিযোগ, সেই কাজ করতে গিয়েই সভাস্থলের কৃষি দপ্তরের অধীন বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকার একটি হাই ড্রেন । এই সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থানে যান বংশী হারি নদী ও পরিবেশ-এর সদস্যরা ৷ সঙ্গে ছিলেন হরিরামপুর বিধানসভার CPIM বিধায়ক রফিকুল ইসলাম ৷ তারা কৃষি দপ্তরের গাছ কাটায় বাধা দেন । তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় জেলাশাসকের কাছে ই-মেল-এ অভিযোগ করেন বিধায়ক । পরে CPIM জেলা নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দেয়, এই অন্যায় বন্ধ না হলে বুনিয়াদপুরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গাছ কাটার প্রতিবাদে পথে নামাব ।

বংশী হারি নদী ও পরিবেশ কমিটির সেক্রেটারি অমর পাল বলেন, "ঘটনা খুবই নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক । আমরা মমতা ব্যানার্জিকে বুনিয়াদপুরে স্বাগত জানাই ৷ তিনি এর আগেও এসেছেন এখানে ৷ কিন্তু এবারে তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতৃত্বের প্ররোচনায় যেভাবে বড় বড় কাজগুলোকে কাটা হল তার জন্য আমি বংশী হারী নদী ও পরিবেশ-এর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই । এভাবে বৃক্ষছেদন করে যেন কোনও জনসভা না হয় । "

CPIM বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, "কৃষি দপ্তরের ১৭ টি গাছ কাটা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য ৷ ড্রেন বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে । গ্রিন সিটির নামে গাছ লাগানোর কথা বললেও দুর্মূল্য সব গাছ কাটা হল । জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি ৷ খুব তাড়াতাড়ি পথে নেমে আন্দোলন করব ।

জেলাশাসক নিখিল নির্মল অবশ্য জানালেন তিনি এখনও অভিযোগ পাননি৷ বলেন, "হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়কের কোনও অভিযোগ পাইনি, ই-মেল দেখে জানানো হবে বিধায়ক কী বিষয়ে অভিযোগ করছেন ।" গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ বলেন, " আমার কাছে অভিযোগ করেননি রফিকুল বাবু ৷ তবে শুনেছি জেলাশাসককে অভিযোগ করেছেন ই-মেলের মাধ্যমে ৷ তিনি বিষয়টি দেখবেন ।"

বুনিয়াদপুর, 22 ফেব্রুয়ারি : জেলা সফরে আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৷ এলে নিশ্চয়ই সভাও করবেন ৷ আর সে কথা মাথায় রেখেই কেটে ফেলা হল বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠ সংলগ্ন একাধিক বড় গাছ । যা নিয়ে সরব হলেন স্থানীয় CPIM বিধায়ক থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমী একটি সংঠন ৷ বিশ্ব উষ্ণায়ণের যুগে গাছ লাগানোই যখন দস্তুর, তখন মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় আসবেন বলে বৃক্ষছেদন মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই । ইতিমধ্যে হরিরামপুর বিধানসভার CPIM বিধায়ক রফিকুল ইসলাম ই-মেল মারফত জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ।

বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে আগামী 4 মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সভা হওয়ার কথা রয়েছে ৷ তার আগে তৃণমূল শিবির ওই মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে । অভিযোগ, সেই কাজ করতে গিয়েই সভাস্থলের কৃষি দপ্তরের অধীন বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকার একটি হাই ড্রেন । এই সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থানে যান বংশী হারি নদী ও পরিবেশ-এর সদস্যরা ৷ সঙ্গে ছিলেন হরিরামপুর বিধানসভার CPIM বিধায়ক রফিকুল ইসলাম ৷ তারা কৃষি দপ্তরের গাছ কাটায় বাধা দেন । তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় জেলাশাসকের কাছে ই-মেল-এ অভিযোগ করেন বিধায়ক । পরে CPIM জেলা নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দেয়, এই অন্যায় বন্ধ না হলে বুনিয়াদপুরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গাছ কাটার প্রতিবাদে পথে নামাব ।

বংশী হারি নদী ও পরিবেশ কমিটির সেক্রেটারি অমর পাল বলেন, "ঘটনা খুবই নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক । আমরা মমতা ব্যানার্জিকে বুনিয়াদপুরে স্বাগত জানাই ৷ তিনি এর আগেও এসেছেন এখানে ৷ কিন্তু এবারে তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতৃত্বের প্ররোচনায় যেভাবে বড় বড় কাজগুলোকে কাটা হল তার জন্য আমি বংশী হারী নদী ও পরিবেশ-এর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই । এভাবে বৃক্ষছেদন করে যেন কোনও জনসভা না হয় । "

CPIM বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, "কৃষি দপ্তরের ১৭ টি গাছ কাটা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য ৷ ড্রেন বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে । গ্রিন সিটির নামে গাছ লাগানোর কথা বললেও দুর্মূল্য সব গাছ কাটা হল । জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি ৷ খুব তাড়াতাড়ি পথে নেমে আন্দোলন করব ।

জেলাশাসক নিখিল নির্মল অবশ্য জানালেন তিনি এখনও অভিযোগ পাননি৷ বলেন, "হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়কের কোনও অভিযোগ পাইনি, ই-মেল দেখে জানানো হবে বিধায়ক কী বিষয়ে অভিযোগ করছেন ।" গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ বলেন, " আমার কাছে অভিযোগ করেননি রফিকুল বাবু ৷ তবে শুনেছি জেলাশাসককে অভিযোগ করেছেন ই-মেলের মাধ্যমে ৷ তিনি বিষয়টি দেখবেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.