ETV Bharat / state

ভিন রাজ্য থেকে ফেরায় গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হল না দম্পতিকে

মাস দু'য়েক আগে তিনি রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে কাজ । লকডাউন লাগু হয়ে যাওয়ায় ফেরার চেষ্টা করলেও ফিরতে পারেনি ওই আদিবাসী দম্পতি ।

ভিন রাজ্য থেকে ফেরায় গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হল না মেয়ে-জামাইকে
ভিন রাজ্য থেকে ফেরায় গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হল না মেয়ে-জামাইকে
author img

By

Published : May 10, 2020, 12:14 AM IST

বালুরঘাট, 9 মে: লকডাউনের মধ্যেই স্ত্রীকে নিয়ে গোরক্ষপুর থেকে বালুরঘাটে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন যুবক । কিন্তু এই কোরোনা আবহে জামাই আদর তো হলই না উলটে গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁর পথ আটকাল গ্রামবাসীরা । শনিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের শিরহি এলাকায় ঘটে ঘটনাটি । বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয়দের । এরপর স্বামী-স্ত্রীকে গ্রামের বাইরে বসিয়ে রাখা হয় । এদিকে গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ায় বিকেল পর্যন্ত গ্রামের বাইরেই বসে থাকেন ওই আদিবাসী দম্পতি । পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের দুজনকে কোয়ারানটিনে পাঠায় ।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের শালগ্রাম এলাকায় । তাঁর স্ত্রীর বাপের বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের শিরহি এলাকায় । প্রায় মাস দু'য়েক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে কাজ । লকডাউনে ফেরার চেষ্টা করলেও ফিরতে পারেনি ওই আদিবাসী দম্পতি । এরপর প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে গাড়ি করে স্বামী-স্ত্রী বিহারের কাটিহার পর্যন্ত আসেন । প্রায় এক সপ্তাহ আগে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন । এরপর গতকাল পতিরাম এলাকায় এসে পৌঁছান । তারপর শনিবার ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি শিরোহি গ্রামে আসেন জামাই । তাঁর পিঠে বড় ব্যাগ দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের । জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুঝতে পারেন, ভিন রাজ্য থেকে আসছেন । এরপর খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশকে । পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে ওই আদিবাসী দম্পতিকে কোয়ারাটিনে পাঠায় ।

এবিষয়ে ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল সরেন বলেন, "কোরোনা আবহের মধ্যেই ওই দম্পতি গ্রামে আত্মীয়র বাড়ি যাচ্ছিলেন । গ্রামবাসীরা স্বামী-স্ত্রীকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেয়নি । এরপর পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের খবর দেওয়া হয় । তারা এসে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে কোয়ারানটিনে নিয়ে যায় ।" অন্য দিকে এবিষয়ে এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত(দ্বিতীয়) বলেন, "ভিন রাজ্য থেকে জেলায় মোট 19 জন শ্রমিক এসেছে । তাঁদের মধ্যে গঙ্গারামপুরের 11 জন, কুশমণ্ডির 6 জন এবং বালুরঘাটের 2 জন রয়েছে । এঁদের সবাইকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ।"

বালুরঘাট, 9 মে: লকডাউনের মধ্যেই স্ত্রীকে নিয়ে গোরক্ষপুর থেকে বালুরঘাটে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন যুবক । কিন্তু এই কোরোনা আবহে জামাই আদর তো হলই না উলটে গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁর পথ আটকাল গ্রামবাসীরা । শনিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের শিরহি এলাকায় ঘটে ঘটনাটি । বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয়দের । এরপর স্বামী-স্ত্রীকে গ্রামের বাইরে বসিয়ে রাখা হয় । এদিকে গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ায় বিকেল পর্যন্ত গ্রামের বাইরেই বসে থাকেন ওই আদিবাসী দম্পতি । পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের দুজনকে কোয়ারানটিনে পাঠায় ।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের শালগ্রাম এলাকায় । তাঁর স্ত্রীর বাপের বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের শিরহি এলাকায় । প্রায় মাস দু'য়েক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে কাজ । লকডাউনে ফেরার চেষ্টা করলেও ফিরতে পারেনি ওই আদিবাসী দম্পতি । এরপর প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে গাড়ি করে স্বামী-স্ত্রী বিহারের কাটিহার পর্যন্ত আসেন । প্রায় এক সপ্তাহ আগে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন । এরপর গতকাল পতিরাম এলাকায় এসে পৌঁছান । তারপর শনিবার ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি শিরোহি গ্রামে আসেন জামাই । তাঁর পিঠে বড় ব্যাগ দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের । জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুঝতে পারেন, ভিন রাজ্য থেকে আসছেন । এরপর খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশকে । পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে ওই আদিবাসী দম্পতিকে কোয়ারাটিনে পাঠায় ।

এবিষয়ে ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল সরেন বলেন, "কোরোনা আবহের মধ্যেই ওই দম্পতি গ্রামে আত্মীয়র বাড়ি যাচ্ছিলেন । গ্রামবাসীরা স্বামী-স্ত্রীকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেয়নি । এরপর পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের খবর দেওয়া হয় । তারা এসে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে কোয়ারানটিনে নিয়ে যায় ।" অন্য দিকে এবিষয়ে এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত(দ্বিতীয়) বলেন, "ভিন রাজ্য থেকে জেলায় মোট 19 জন শ্রমিক এসেছে । তাঁদের মধ্যে গঙ্গারামপুরের 11 জন, কুশমণ্ডির 6 জন এবং বালুরঘাটের 2 জন রয়েছে । এঁদের সবাইকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.