বালুরঘাট, 9 মে: লকডাউনের মধ্যেই স্ত্রীকে নিয়ে গোরক্ষপুর থেকে বালুরঘাটে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন যুবক । কিন্তু এই কোরোনা আবহে জামাই আদর তো হলই না উলটে গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁর পথ আটকাল গ্রামবাসীরা । শনিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের শিরহি এলাকায় ঘটে ঘটনাটি । বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে স্থানীয়দের । এরপর স্বামী-স্ত্রীকে গ্রামের বাইরে বসিয়ে রাখা হয় । এদিকে গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ায় বিকেল পর্যন্ত গ্রামের বাইরেই বসে থাকেন ওই আদিবাসী দম্পতি । পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের দুজনকে কোয়ারানটিনে পাঠায় ।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের শালগ্রাম এলাকায় । তাঁর স্ত্রীর বাপের বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের শিরহি এলাকায় । প্রায় মাস দু'য়েক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে কাজ । লকডাউনে ফেরার চেষ্টা করলেও ফিরতে পারেনি ওই আদিবাসী দম্পতি । এরপর প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে গাড়ি করে স্বামী-স্ত্রী বিহারের কাটিহার পর্যন্ত আসেন । প্রায় এক সপ্তাহ আগে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন । এরপর গতকাল পতিরাম এলাকায় এসে পৌঁছান । তারপর শনিবার ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি শিরোহি গ্রামে আসেন জামাই । তাঁর পিঠে বড় ব্যাগ দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের । জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুঝতে পারেন, ভিন রাজ্য থেকে আসছেন । এরপর খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশকে । পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে ওই আদিবাসী দম্পতিকে কোয়ারাটিনে পাঠায় ।
এবিষয়ে ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল সরেন বলেন, "কোরোনা আবহের মধ্যেই ওই দম্পতি গ্রামে আত্মীয়র বাড়ি যাচ্ছিলেন । গ্রামবাসীরা স্বামী-স্ত্রীকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেয়নি । এরপর পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের খবর দেওয়া হয় । তারা এসে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে কোয়ারানটিনে নিয়ে যায় ।" অন্য দিকে এবিষয়ে এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত(দ্বিতীয়) বলেন, "ভিন রাজ্য থেকে জেলায় মোট 19 জন শ্রমিক এসেছে । তাঁদের মধ্যে গঙ্গারামপুরের 11 জন, কুশমণ্ডির 6 জন এবং বালুরঘাটের 2 জন রয়েছে । এঁদের সবাইকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ।"