তপন, 20 মে : ছত্তিশগড় থেকে ফেরা শ্রমিককে হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বাধা দিল গ্রামবাসীদের একাংশ । এমনকী তাঁর পরিবারের উপর হামলার অভিযোগও উঠল ।
তপন থানার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত । এই পঞ্চায়েতের চকভগীরথ এলাকার বাসিন্দা সুবীর ঘোষ । কাজের সূত্রে ছত্তিশগড়ে থাকতেন । লকডাউনে গ্রামে ফিরতেই অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবেশীরা । অভিযোগ, থাকতে দেওয়া হবে না বলে লাঠি নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় কয়েকজন । তাতে সুবীরবাবুর ভাই সুব্রত ঘোষ আক্রান্ত হন । সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে । গতকাল তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তের পরিবার । সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
ছত্তিশগড় থেকে সোমবার জেলায় ফেরেন সুবীর । বালুরঘাটে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম-নীতি মেনে খাসপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শারীরিক পরীক্ষা করান । এরপর চিকিৎসকরা তাঁকে হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দেন । সেইমতো গ্রামে ফেরেন । অভিযোগ, এরপরই একাংশ গ্রামবাসী তার বিরোধিতা করে । বচসা হয় । লাঠি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় কয়েকজন প্রতিবেশী । ঘটনায় জখম হন সুবীর ঘোষের ভাই সুব্রত ঘোষ । প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি ভালো আছেন ।
সুব্রত ঘোষ বলেন, “দাদাকে হোম কোয়ারানটিনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । বাড়ি থেকে দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় নির্মীয়মাণ একটি বাড়িতে দাদাকে রাখা হয় । কিন্তু গ্রামের লোক তাতেও বাধা দেয় । এই নিয়ে সোমবার রাতে বেশ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে লাঠি নিয়ে চড়াও হয় । বাড়ির মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । পাশাপাশি আমাকে লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় । আমাদের বাড়ির জলের লাইন, ইলেকট্রিক লাইন কেটে দেয় । সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে আমার দাদাকে হোম কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে । কিন্তু এরপরেও আমি এবং আমার পরিবার আক্রান্ত হলাম ।”
গতকাল তপন থানায় মোট আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ । এরকম ব্যবহার মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ । উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ।