ETV Bharat / state

গঙ্গারামপুর পৌরসভা : 16 কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে, দাবি প্রশান্তর

পৌরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান নেই তাই সাত দিন সময় পাওয়া গেছে । তার মধ্যে অনাস্থা মিটিং ডাকা হবে । জানান গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ।

author img

By

Published : Jul 11, 2019, 6:30 AM IST

প্রশান্ত মিত্র

গঙ্গারামপুর, 11 জুলাই : কার দখলে গঙ্গারামপুর পৌরসভা ? জোর তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বনাম প্রশান্ত মিত্রের । ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর পৌরসভার বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে । তৃণমূলের 9 জন কাউন্সিলর বিপ্লব মিত্রের ভাই প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও বিষয়টি নিয়ে মিটিং ডাকেননি প্রশান্তবাবু । যদিও প্রশান্তবাবুর দাবি, পৌরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান নেই তাই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মিটিং ডাকার ক্ষেত্রে 7 দিন সময় পাওয়া গেছে । তার মধ্যে মিটিং ডাকা হবে ।

উল্লেখ্য, 24 জুন তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন বিপ্লব মিত্র । তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ । 25 জুন অনাস্থা প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার 9 জন তৃণমূল কাউন্সিলর । অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেছিলেন, "প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে BJP-তে যোগ দিয়েছেন । গঙ্গারামপুরসহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা জানে ।"

প্রশান্তবাবু বলেন, "অমলেন্দু সরকার আগে ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন । পরে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল । অমলেন্দুবাবুর দাবি তাঁর সঙ্গে নাকি সমস্ত কাউন্সিলরা রয়েছেন । আমার প্রশ্ন, যদি তাই হয় তাহলে তাঁদের উঠিয়ে নিয়ে অন্য কোথাও লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে কেন ? আমি তো যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন তাঁদেরকেও বলছি না কেন আপনারা সই করলেন ? কেন আপনারা আমাকে ভোট দেবেন না ? তাই যখন অনাস্থার ভোটটা হবে তখনই বোঝা যাবে কে কার সঙ্গে আছে । আমার দৃঢ় বিশ্বাস 18 জনের মধ্যে 16 জনই আমার সঙ্গে আছেন । অমলেন্দুবাবুর সঙ্গে কেউ নেই । সবাইকে ভয় দেখিয়ে বাইরে নিয়ে গেছেন ।"

প্রশান্তবাবু আরও বলেন, "আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদটি থেকে অমলেন্দুবাবুকে অপসারিত করায় আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে । তবে আদালত আমার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছেন । এছাড়া আদালত অনাস্থা বলবৎ রেখে আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটিং ডাকতে বলেছেন । যেহেতু পৌরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান নেই তাই আমি 7 দিন সময় পাচ্ছি । তার মধ্যে অনাস্থা মিটিং ডাকব । "

অমলেন্দুবাবু বলেন,"চেয়ারম্যান এখনও পর্যন্ত মিটিং ডাকেননি, ডাকবে বলে আমার আশাও নেই । আমাদের কাছে 13 জন কাউন্সিলর আছে । যদি উনি মিটিং না ডাকেন তাহলে আমরা তলবি সভা ডাকব । গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানকে অপসারিত করব । "

তৃণমূলের একাংশ চাইছে ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হোক কে চেয়ারম্যান থাকবেন ,আর কে-ই বা হবেন ভাইস চেয়ারম্যান ।

গঙ্গারামপুর, 11 জুলাই : কার দখলে গঙ্গারামপুর পৌরসভা ? জোর তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বনাম প্রশান্ত মিত্রের । ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর পৌরসভার বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে । তৃণমূলের 9 জন কাউন্সিলর বিপ্লব মিত্রের ভাই প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও বিষয়টি নিয়ে মিটিং ডাকেননি প্রশান্তবাবু । যদিও প্রশান্তবাবুর দাবি, পৌরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান নেই তাই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মিটিং ডাকার ক্ষেত্রে 7 দিন সময় পাওয়া গেছে । তার মধ্যে মিটিং ডাকা হবে ।

উল্লেখ্য, 24 জুন তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন বিপ্লব মিত্র । তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ । 25 জুন অনাস্থা প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার 9 জন তৃণমূল কাউন্সিলর । অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেছিলেন, "প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে BJP-তে যোগ দিয়েছেন । গঙ্গারামপুরসহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা জানে ।"

প্রশান্তবাবু বলেন, "অমলেন্দু সরকার আগে ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন । পরে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল । অমলেন্দুবাবুর দাবি তাঁর সঙ্গে নাকি সমস্ত কাউন্সিলরা রয়েছেন । আমার প্রশ্ন, যদি তাই হয় তাহলে তাঁদের উঠিয়ে নিয়ে অন্য কোথাও লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে কেন ? আমি তো যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন তাঁদেরকেও বলছি না কেন আপনারা সই করলেন ? কেন আপনারা আমাকে ভোট দেবেন না ? তাই যখন অনাস্থার ভোটটা হবে তখনই বোঝা যাবে কে কার সঙ্গে আছে । আমার দৃঢ় বিশ্বাস 18 জনের মধ্যে 16 জনই আমার সঙ্গে আছেন । অমলেন্দুবাবুর সঙ্গে কেউ নেই । সবাইকে ভয় দেখিয়ে বাইরে নিয়ে গেছেন ।"

প্রশান্তবাবু আরও বলেন, "আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদটি থেকে অমলেন্দুবাবুকে অপসারিত করায় আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে । তবে আদালত আমার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছেন । এছাড়া আদালত অনাস্থা বলবৎ রেখে আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটিং ডাকতে বলেছেন । যেহেতু পৌরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান নেই তাই আমি 7 দিন সময় পাচ্ছি । তার মধ্যে অনাস্থা মিটিং ডাকব । "

অমলেন্দুবাবু বলেন,"চেয়ারম্যান এখনও পর্যন্ত মিটিং ডাকেননি, ডাকবে বলে আমার আশাও নেই । আমাদের কাছে 13 জন কাউন্সিলর আছে । যদি উনি মিটিং না ডাকেন তাহলে আমরা তলবি সভা ডাকব । গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানকে অপসারিত করব । "

তৃণমূলের একাংশ চাইছে ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হোক কে চেয়ারম্যান থাকবেন ,আর কে-ই বা হবেন ভাইস চেয়ারম্যান ।

Intro:গঙ্গারামপুর পৌরসভায় চেয়ারম্যানের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় খুশি চেয়ারম্যান ।।
গঙ্গারামপুর ; 10জুলাই ;-গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার মিটিং নিয়ে চলছে তুমুল ডামাডোল তৃণমূল বনাম প্রশান্ত মিত্র।ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর পুরসভার বিষয় নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। তৃণমূলের নয় জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও শেষ দিন পর্যন্ত মিটিং ডাকতে পারেননি প্রশান্ত বাবু।
যদিও প্রশান্ত বাবু জানান যেহুতু পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান পদটি নেই তার জন্য আমি সাত দিন সময় পাচ্ছি তার মধ্যে অনাস্থা মিটিং ডাকবো। আমাদের কাউন্সিলারদের ভাইস চেয়ারম্যান বাইরে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছেন।অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার জানান আমরা তৃণমূল কাউন্সিলররা এক সাথে আছি উনি সাত দিন আরো সময় পাচ্ছেন তাতে যদি মিটিং না ডাকতে পারে তবে আমরা তলবি সভার প্রস্তুতি নেব। গঙ্গারামপুর পুরসভা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূল বনাম প্রশান্ত মিত্রের শক্তি পরীক্ষা চলছে ,দুপক্ষই বোর্ড গঠনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার তৃনমূলের একাংশ চাইছে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ণয় হোক কে চেয়ারম্যান থাকবে ,আর কেইবা থাকবে ভাইস চেয়ারম্যান । তবে তৃনমূলের কর্মী সমর্থক সুধিন পাল জানান জন পরিসেবা ঠিক মত পাওয়া যাচ্ছে না ,ভোটের মাধ্যমে যেন আমরা ঠিক মত পরিসেবা পাই তার কামনা করছি ।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন আমার সঙ্গে কাউন্সিলররা আছে এটা আমার বিশ্বাস। যদি কাউন্সিলাররা সত্যি থেকে থাকে তাহলে বাইরে পালিয়ে গিয়ে থাকতে হচ্ছে কেন ।প্রশাসনকে দিয়ে কাউন্সিলারদের ভয় দেখিয়ে তাদের বাইরে নিয়ে গেছে আমাকে হারানোর জন্য ।আমি তো কোন কাউন্সিলারদের বলিনি যে কি কারনে তারা ভাইস চেয়ারম্যানেওর কাগজে সই করেছে ।যখন ভোট হবে ঠিক তখনি বুঝা যাবে কে কার সঙ্গে আছে । আমার দৃঢ় বিশ্বাস ১৬ জন কাউন্সিলার আমার সঙ্গে আছে । ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে কেউ নেই ,সবাইকে ভয় দেখিয়ে বাইরে নিয়ে গেছে ।
অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার পুলিসের মদতে আমাদের কাউন্সিলারদের বাইরে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছে।আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদটি থেকে অপসারণ করায় আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা তবে বিচারক আমার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে এছাড়াও অনাস্থা বলবৎ রেখে আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটিং ডাকতে বলা বলেছে ।
Body:গঙ্গারামপুর পৌরসভায় চেয়ারম্যানের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় খুশি চেয়ারম্যান ।।
গঙ্গারামপুর ; 10জুলাই ;-গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার মিটিং নিয়ে চলছে তুমুল ডামাডোল তৃণমূল বনাম প্রশান্ত মিত্র।ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর পুরসভার বিষয় নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। তৃণমূলের নয় জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও শেষ দিন পর্যন্ত মিটিং ডাকতে পারেননি প্রশান্ত বাবু।
যদিও প্রশান্ত বাবু জানান যেহুতু পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান পদটি নেই তার জন্য আমি সাত দিন সময় পাচ্ছি তার মধ্যে অনাস্থা মিটিং ডাকবো। আমাদের কাউন্সিলারদের ভাইস চেয়ারম্যান বাইরে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছেন।অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার জানান আমরা তৃণমূল কাউন্সিলররা এক সাথে আছি উনি সাত দিন আরো সময় পাচ্ছেন তাতে যদি মিটিং না ডাকতে পারে তবে আমরা তলবি সভার প্রস্তুতি নেব। গঙ্গারামপুর পুরসভা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূল বনাম প্রশান্ত মিত্রের শক্তি পরীক্ষা চলছে ,দুপক্ষই বোর্ড গঠনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার তৃনমূলের একাংশ চাইছে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ণয় হোক কে চেয়ারম্যান থাকবে ,আর কেইবা থাকবে ভাইস চেয়ারম্যান । তবে তৃনমূলের কর্মী সমর্থক সুধিন পাল জানান জন পরিসেবা ঠিক মত পাওয়া যাচ্ছে না ,ভোটের মাধ্যমে যেন আমরা ঠিক মত পরিসেবা পাই তার কামনা করছি ।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন আমার সঙ্গে কাউন্সিলররা আছে এটা আমার বিশ্বাস। যদি কাউন্সিলাররা সত্যি থেকে থাকে তাহলে বাইরে পালিয়ে গিয়ে থাকতে হচ্ছে কেন ।প্রশাসনকে দিয়ে কাউন্সিলারদের ভয় দেখিয়ে তাদের বাইরে নিয়ে গেছে আমাকে হারানোর জন্য ।আমি তো কোন কাউন্সিলারদের বলিনি যে কি কারনে তারা ভাইস চেয়ারম্যানেওর কাগজে সই করেছে ।যখন ভোট হবে ঠিক তখনি বুঝা যাবে কে কার সঙ্গে আছে । আমার দৃঢ় বিশ্বাস ১৬ জন কাউন্সিলার আমার সঙ্গে আছে । ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে কেউ নেই ,সবাইকে ভয় দেখিয়ে বাইরে নিয়ে গেছে ।
অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার পুলিসের মদতে আমাদের কাউন্সিলারদের বাইরে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছে।আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদটি থেকে অপসারণ করায় আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা তবে বিচারক আমার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে এছাড়াও অনাস্থা বলবৎ রেখে আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটিং ডাকতে বলা বলেছে ।
Conclusion:গঙ্গারামপুর পৌরসভায় চেয়ারম্যানের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় খুশি চেয়ারম্যান ।।
গঙ্গারামপুর ; 10জুলাই ;-গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার মিটিং নিয়ে চলছে তুমুল ডামাডোল তৃণমূল বনাম প্রশান্ত মিত্র।ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর পুরসভার বিষয় নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। তৃণমূলের নয় জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও শেষ দিন পর্যন্ত মিটিং ডাকতে পারেননি প্রশান্ত বাবু।
যদিও প্রশান্ত বাবু জানান যেহুতু পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান পদটি নেই তার জন্য আমি সাত দিন সময় পাচ্ছি তার মধ্যে অনাস্থা মিটিং ডাকবো। আমাদের কাউন্সিলারদের ভাইস চেয়ারম্যান বাইরে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছেন।অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার জানান আমরা তৃণমূল কাউন্সিলররা এক সাথে আছি উনি সাত দিন আরো সময় পাচ্ছেন তাতে যদি মিটিং না ডাকতে পারে তবে আমরা তলবি সভার প্রস্তুতি নেব। গঙ্গারামপুর পুরসভা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূল বনাম প্রশান্ত মিত্রের শক্তি পরীক্ষা চলছে ,দুপক্ষই বোর্ড গঠনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার তৃনমূলের একাংশ চাইছে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্ণয় হোক কে চেয়ারম্যান থাকবে ,আর কেইবা থাকবে ভাইস চেয়ারম্যান । তবে তৃনমূলের কর্মী সমর্থক সুধিন পাল জানান জন পরিসেবা ঠিক মত পাওয়া যাচ্ছে না ,ভোটের মাধ্যমে যেন আমরা ঠিক মত পরিসেবা পাই তার কামনা করছি ।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন আমার সঙ্গে কাউন্সিলররা আছে এটা আমার বিশ্বাস। যদি কাউন্সিলাররা সত্যি থেকে থাকে তাহলে বাইরে পালিয়ে গিয়ে থাকতে হচ্ছে কেন ।প্রশাসনকে দিয়ে কাউন্সিলারদের ভয় দেখিয়ে তাদের বাইরে নিয়ে গেছে আমাকে হারানোর জন্য ।আমি তো কোন কাউন্সিলারদের বলিনি যে কি কারনে তারা ভাইস চেয়ারম্যানেওর কাগজে সই করেছে ।যখন ভোট হবে ঠিক তখনি বুঝা যাবে কে কার সঙ্গে আছে । আমার দৃঢ় বিশ্বাস ১৬ জন কাউন্সিলার আমার সঙ্গে আছে । ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে কেউ নেই ,সবাইকে ভয় দেখিয়ে বাইরে নিয়ে গেছে ।
অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার পুলিসের মদতে আমাদের কাউন্সিলারদের বাইরে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছে।আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদটি থেকে অপসারণ করায় আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা তবে বিচারক আমার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে এছাড়াও অনাস্থা বলবৎ রেখে আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটিং ডাকতে বলা বলেছে ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.