কুমারগঞ্জ, 1 সেপ্টেম্বর: গুরুতর আহত অবস্থায় জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই সন্দেহ হয়েছিল চিকিৎসকদের ৷ একটু খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয় ৷ কারণ, আহত BSF জওয়ানের কোমরে বিদ্ধ হয়েছিল দুটি গুলি ৷ সহকর্মীদের বক্তব্য ছিল, ওই জওয়ান তাঁর ব্যবহৃত ইনসাস রাইফেল দিয়েই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন ৷ কিন্তু, প্রশ্ন এখানেই ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনসাস রাইফেল নিজের কোমরে লাগিয়ে গুলি চালানো কার্যত অসম্ভব ৷ আবার, ইনসাস রাইফেল দিয়ে কেউ যদি আত্মহত্যা করতে চান তাহলে তিনি সাধারণত থুতনির নিচে তা লাগিয়ে গুলি চালিয়ে থাকেন৷ কিন্তু, এখানে তেমনটি হয়নি ৷ আবার দ্বিতীয় সন্দেহ, কেউ আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলে সাধারণ একবারই গুলি চালিয়ে থাকেন, তাহলে দু'বার গুলি চলল কীভাবে?
জখম BSF জওয়ানের নাম মুকেশ কুমার, তাঁর বয়স 35 । তাঁর বাড়ি জম্মুতে ৷ আজ কুতুবপুর BOP-র সোমগিয়া আউট পোস্টে কর্তব্যরত ছিলেন মুকেশ কুমার । দুপুরে হঠাৎই গুলির আওয়াজ পান সেখানে কর্তব্যরত জওয়ানরা ৷ গুলির উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা দেখতে পান মুকেশ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন ৷ তাঁর কোমরে গুলির আঘাত ছিল ৷
আহত অবস্থায় মুকেশকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় জানা যায় মুকেশের কোমরে দুটি গুলির আঘাত রয়েছে ৷ তাঁর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় পরে তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি চালানোর আগে আর এক জওয়ানের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল মুকেশের৷ সেই সময়ই গুলি চলে বলে জানিয়েছেন তারা৷ তবে ওই জওয়ান মুকেশকে গুলি চালিয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়৷ তদন্তকারীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ৷ সেই সঙ্গে মুকেশ কুমার মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷