ETV Bharat / state

ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালীপুজোয় মাতল বালুরঘাট - Bolla kali puja is started in North Bengal

কথিত আছে, এলাকার জমিদার বল্লভ মুখোপাধ্যায়ের নাম অনুসারেই বোল্লা নামটি এসেছে । পুজো সম্পর্কেও নানান যে জনশ্রুতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মুরারীমোহন চৌধুরী নামের জমিদারের কথা জানা যায় ৷ তিনি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন । বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার থেকে তিনি ঘটা করে এই পুজো শুরু করেন বলে জানা যায় । সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে সাড়ে তিনশ বছরেরও বেশি তা স্পষ্ট হয়ে যায় ৷

puja
author img

By

Published : Nov 15, 2019, 11:47 PM IST

বালুরঘাট, ১৫ নভেম্বর : রাস পূর্ণিমার পর প্রথম শুক্রবার রাতে বালুরঘাট থানার বোল্লা এলাকায় বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পূজা অনুষ্ঠিত হতে চলছে । এইদিন রাতে পুজো হবে বোল্লা রক্ষা কালীর । প্রায় কয়েকশো বছর আগে থেকে এই বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পুজো হয়ে আসছে বলে পুজো কমিটি জানায় । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাইরেও দেশে ও বাংলাদেশও জনপ্রিয় এই পুজো ৷ লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয় । আয়োজন হয় একটি মেলারও ।

প্রায় 400 বছরের বেশি পুরোনো এই মেলা প্রতি বছর রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার থেকে শুরু হয় । হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের মানুষের সমাগমে প্রতি বছর তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহামিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয় । মেলায় প্রতিবছর দশ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হয় । প্রতি বছরের মত এবছরও মেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রায় 2.5 হাজার উর্দিধারী, সাদা পোশাকের পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্স, CCTV-র ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন । নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে গোটা মেলা জুড়ে বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে । এমনকি মেলা প্রাঙ্গনে 24 ঘন্টার জন্য খোলা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম । হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে, আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা । আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিপত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালীর পূজার উল্লেখ পাওয়া যায় । যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স 300 বছরেরও বেশি বলে জানা যায় । এবছরও মেলায় মণিহারির দোকান থেকে শুরু করে নাগরদোলা, সার্কাস ও যাত্রা সহ বিনোদন মূলক অনেক কিছুই রয়েছে । রাতে কালীপুজোর মানত হিসাবে কয়েক হাজার পাঁঠা বলির প্রচলন রয়েছে । মেলার নিরাপত্তা জোরদার করতে করা পুলিশি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে ৷ এবার সব মিলিয়ে 20 কেজির উপর সোনা ও রুপার গহনায় মা সজ্জিত হয়েছেন । শিলিগুড়ির এক ভক্ত মানত হিসেবে হিরে দান করেছেন ।

জনশ্রুতি বলছে, মুরারীমোহন চৌধুরী নামের এক জমিদার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন । বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার থেকে তিনি ঘটা করে এই পুজো শুরু করেন বলে জানা যায় । সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে 350 বছরেরও বেশি তা স্পষ্ট হয়ে যায় ৷

এবিষয়ে DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, মেলায় যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গনের বিভিন্ন স্থানে সহ প্রধান রাস্তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে । এছাড়াও ইভটিজিং ও পকেটমারির ঘটনা রোধ করতে অসংখ্য সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে । সাধারণ মানুষের অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য বাইরে থেকে পুলিশ এসেছে ।

এবারের বোল্লা পূজা কমিটির সভাপতি মৃণালকান্তি সরকার বলেন, "ঠিক কবে এই পুজো শুরু হয়েছিল তা সঠিক ভাবে জানা নেই ৷ তবে লোকমুখে শোনা যায় সেই সময় বোল্লা গ্রামীবাসীদের নামে মামলা হয়েছিল । সেই মামলায় গ্রামবাসীরা জয়ী হন। তখন থেকে এই পুজো বড় আকারে হয়ে আসছে । পুরোনো রীতি রেওয়াজেই এখনও মা এখানে পূজিত হন ।"

বালুরঘাট, ১৫ নভেম্বর : রাস পূর্ণিমার পর প্রথম শুক্রবার রাতে বালুরঘাট থানার বোল্লা এলাকায় বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পূজা অনুষ্ঠিত হতে চলছে । এইদিন রাতে পুজো হবে বোল্লা রক্ষা কালীর । প্রায় কয়েকশো বছর আগে থেকে এই বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পুজো হয়ে আসছে বলে পুজো কমিটি জানায় । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাইরেও দেশে ও বাংলাদেশও জনপ্রিয় এই পুজো ৷ লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয় । আয়োজন হয় একটি মেলারও ।

প্রায় 400 বছরের বেশি পুরোনো এই মেলা প্রতি বছর রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার থেকে শুরু হয় । হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের মানুষের সমাগমে প্রতি বছর তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহামিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয় । মেলায় প্রতিবছর দশ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হয় । প্রতি বছরের মত এবছরও মেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রায় 2.5 হাজার উর্দিধারী, সাদা পোশাকের পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্স, CCTV-র ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন । নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে গোটা মেলা জুড়ে বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে । এমনকি মেলা প্রাঙ্গনে 24 ঘন্টার জন্য খোলা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম । হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে, আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা । আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিপত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালীর পূজার উল্লেখ পাওয়া যায় । যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স 300 বছরেরও বেশি বলে জানা যায় । এবছরও মেলায় মণিহারির দোকান থেকে শুরু করে নাগরদোলা, সার্কাস ও যাত্রা সহ বিনোদন মূলক অনেক কিছুই রয়েছে । রাতে কালীপুজোর মানত হিসাবে কয়েক হাজার পাঁঠা বলির প্রচলন রয়েছে । মেলার নিরাপত্তা জোরদার করতে করা পুলিশি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে ৷ এবার সব মিলিয়ে 20 কেজির উপর সোনা ও রুপার গহনায় মা সজ্জিত হয়েছেন । শিলিগুড়ির এক ভক্ত মানত হিসেবে হিরে দান করেছেন ।

জনশ্রুতি বলছে, মুরারীমোহন চৌধুরী নামের এক জমিদার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন । বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার থেকে তিনি ঘটা করে এই পুজো শুরু করেন বলে জানা যায় । সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে 350 বছরেরও বেশি তা স্পষ্ট হয়ে যায় ৷

এবিষয়ে DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, মেলায় যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গনের বিভিন্ন স্থানে সহ প্রধান রাস্তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে । এছাড়াও ইভটিজিং ও পকেটমারির ঘটনা রোধ করতে অসংখ্য সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে । সাধারণ মানুষের অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য বাইরে থেকে পুলিশ এসেছে ।

এবারের বোল্লা পূজা কমিটির সভাপতি মৃণালকান্তি সরকার বলেন, "ঠিক কবে এই পুজো শুরু হয়েছিল তা সঠিক ভাবে জানা নেই ৷ তবে লোকমুখে শোনা যায় সেই সময় বোল্লা গ্রামীবাসীদের নামে মামলা হয়েছিল । সেই মামলায় গ্রামবাসীরা জয়ী হন। তখন থেকে এই পুজো বড় আকারে হয়ে আসছে । পুরোনো রীতি রেওয়াজেই এখনও মা এখানে পূজিত হন ।"

Intro:শুরু হল উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালীপূজা।।

বালুরঘাট, ১৫ নভেম্বর: রাস পূর্নিমার পর প্রথম শুক্রবার রাতে বালুরঘাট থানার বোল্লা এলাকায় বোল্লা রক্ষা কালী মাতার পূজা অনুষ্ঠিত হতে চলছে। এদিন রাতেই পুজো হবে বোল্লা রক্ষা কালির। ঠিক জানা না থাকলেও কয়েকশো বছর আগে থেকে এই বোল্লা রক্ষা কালী মাতার পুজো হয়ে আসছে বলে পুজো কমিটি জানান।
শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নয় জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য এমনকি ভিন রাজ্যে ও বাংলাদেশ থেকেও লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার বোল্লা এলাকায় রক্ষা কালীর পূজাকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী এই মেলার আয়োজন।

প্রায় চারশোরও বেশি বছরের পুরাতন এই মেলা প্রতি বছর রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার থেকে শুরু হয়। হিন্দু মুসলিম সব ধর্মের মানুষের সমাগমে প্রতিবছর তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহামিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। মেলায় প্রতিবছর দশ লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়। প্রতিবছরের নেয় এবছরও মেলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রায় আড়াই হাজার উর্দিধারী, সাদা পোশাকের পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্স, সিসিটিভির ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে গোটা মেলা জুড়ে বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে। এমনকি মেলা প্রাঙ্গণে ২৪ ঘন্টার জন্য খোলা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম।

বালুরঘাট-মালদা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বোল্লা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোল্লাকালী মন্দির৷ রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবারে এই মন্দিরের পুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী বিরাট মেলা আয়োজন হয়ে থাকে৷ মেলায় হিন্দুরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মালম্বিরাও অংশ নেন। মেলা প্রাঙ্গণের ঠিক সামনেই মুসলিমদের কবরস্থান থাকলেও তা নিয়ে কখনো কোনও তরফ থেকে আপত্তি বা অভিযোগ ওঠেনি। হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে যে আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা। আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখন্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথি পত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালির পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স তিনশ বছরেরও বেশি বলে জানা যায়। এবছরও মেলায় মনিহারির দোকান থেকে শুরু করে নাগরদোলা, সার্কাস ও যাত্রা সহ বিনোদন মূলক অনেক কিছুই রয়েছে। রাতে কালির পুজোর মানত হিসাবে কয়েক হাজার পাঁঠা বলির প্রচলন রয়েছে। মেলার নিরাপত্তা জোরদার করতে করা পুলিশী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে৷ এবার সব মিলিয়ে ২০ কেজির উপর সোনা ও রুপার গহনায় মা সজ্জিত হয়েছেন। শিলিগুড়ির এক পুণ্যার্থী মানদ হিসেবে মাকে হিরে দান করেছেন।

শোনা যায় এলাকার জমিদার বল্লভ মুখোপাধ্যায়-এর নাম অনুসারেই বোল্লা নামটি এসেছে। পুজো সম্পর্কেও নানান যে জনশ্রুতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মুরারি মোহন চৌধুরী নামের জমিদারের কথা জানা যায়৷ তিনি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার থেকে তিনি ঘটা করে এই পুজো শুরু করেন বলে জানা যায়। সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে সাড়ে তিনশ বছরেরও বেশি তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷

এবিষয়ে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, মেলায় যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে সহ প্রধান রাস্তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসান হয়েছে। এছাড়াও ইভটিজিং ও পকেটমারির ঘটনা রোধ করতে কয়েকশ সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য বাইরে থেকে পুলিশ এসেছে।

এবারের বোল্লা পূজা কমিটির সভাপতি মিনাল কান্তি সরকার জানান, ঠিক কবে এই পুজো শুরু হয়েছিল তা সঠিক ভাবে জানানেই কারোরই। তবে লোকমুখে শোনা যায় সেই সময় বোল্লা গ্রামীবাসীদের নামে কোর্ট কেস হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রামবাসীরা জয়ী হয়েছিলেন। তখন থেকে এই পুজো বড় আকারে হয়ে আসছে। পুরোনো রীতি রেওয়াজেই এখনও মা এখানে পূজিত হন।

রায়গঞ্জ থেকে আসা দর্শনার্থী নন্দিতা মাহাতো ও চন্দনা সাহা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই বোল্লা কালী পুজো তে আসেন তারা। মা জাগ্রত এখানে। তাই তারা মানদ করেন।


Body:Balurghat


Conclusion:Balurghat

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.