বংশীহারী, 15 মে : নাকা চেকিংয়ের সময় BDO-কে মাস্ক পরার পরামর্শ পুলিশের । যার জেরে পুলিশের সঙ্গে এবার বচসায় জড়ালেন BDO । কর্তব্য়রত পুলিশকর্মীদের গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে । বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে বলে জানান পুলিশ । যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন BDO । তাঁর পালটা অভিযোগ, পুলিশই তাঁকে ও তাঁর গাড়ির চালককে হেনস্থা করেছেন । যা নিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন । ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের ।
গতরাতে বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় 512 নম্বর জাতীয় সড়কে চলছিল পুলিশের নাকা চেকিং । সেসময় দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার শ্রীমান বন্দোপাধ্যায় পরিবারসহ বুনিয়াদপুরের দিক থেকে হরিরামপুর ফিরছিলেন । অভিযোগ, তাঁর মুখে ছিল না মাস্ক । BDO-কে চিনতে না পেরে বংশীহারী থানার IC বিপ্লব দাসসহ প্রচুর পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকে দেয় । কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা তাঁকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেন । সঙ্গে সঙ্গে তিনি গাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশকে মারধর করেন বলে অভিযোগ । এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর ।
এবিষয়ে অমিত পাল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নাকা চেকিংয়ের সময় বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা হরিরামপুর ব্লকের BDO-কে মাস্ক পরার পরামর্শ দেন । এতেই তিনি গাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হন । আমরা অনেকেই দেখতে পাই সেটা । পরে কথা কাটাকাটিও হয় । সবাইকে যখন মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেই সময় একজন BDO কী করে মাস্ক না পরে বেরিয়ে পড়েন ?
পুরো ঘটনাটি স্বীকার করে নেন বুনিয়াদপুর থানার IC মনোজিৎ সরকার । এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি । শুধু জানান, এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানেন । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ।
এদিকে, BDO শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গতকাল কয়েকজন পুলিশকর্মী তাঁদের গাড়ি আটকান । হঠাৎই তাঁর গাড়ির চালককে ডেকে হেনস্থা করেন । এরপর তিনি বেরিয়ে আসলেও তাঁকেও হেনস্থা করা হয় । তাঁর বক্তব্য, গাড়ির ভিতরে মাস্ক পরব কেন ? গাড়ি থেকে বের হলে নিশ্চয়ই মাস্ক পরা হবে । এমন হেনস্থার ঘটনায় তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানান ।