বালুরঘাট, 6 অগাস্ট: টাঙ্গন নদীতে নৌকাডুবিতে দু'জনের মৃত্যুর ঘটনায় বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধের নির্দেশ জারি করল প্রশাসন। বালুরঘাটের ডাঙ্গি ও কালিকাপুর ঘাটে চলাচলকারী নৌকাঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার জেরে নদীর দুই প্রান্তে বহু মানুষ আটকে পড়েছে ৷ এর ফলে পারাপার করতে না পেরে দফায় দফায় নিত্যযাত্রীরা এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । যদিও পরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নৌকা চলাচল করে আত্রেয়ী নদীতে।
সোমবার বংশীহারীর সিহল এলাকায় টাঙ্গন নদীর উপরে একটি ডিঙি নৌকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে একই পরিবারের আটজন সহ নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনায় ওই পরিবারের বাকি সদস্যরা সাঁতরে বেঁচে গেলেও এক ব্যক্তি ও তাঁর নাতনি নিঁখোজ হয়ে যায়। পুলিস প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালানোর পরে গতকাল ওই দু'জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে ওই ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এদিন থেকে বালুরঘাট আত্রেয়ী নদীতে চলা অবৈধ ফেরিঘাটগুলি বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে প্রশাসন। মূলত ফেরিঘাটগুলির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তা বন্ধ করা হয়েছে। নিত্যদিন চলাচলকারী যাত্রীরা কোন সুরক্ষাবিধি বা লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই চলাচল করে। বালুরঘাট শহর সংলগ্ন ওই ডাঙ্গি ও কালিকাপুর নদীঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সুরক্ষা বিধি ছাড়াই অবৈধভাবে চলাচল করছে।
এবিষয়ে কালিকাপুরের এক নিত্যযাত্রী নিহার সাহা বলেন, আমরা মাঝেমধ্যে এই ঘাট নৌকার মাধ্যমে পেরিয়ে শহরে আসি। এই ঘাট বন্ধ হলে আমাদের সাইকেল নিয়ে প্রায় 7-8 কিমি ঘুরে ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। যার ফলে খুব সমস্যায় পড়েছি। আমরা আইনি জটিলতা বা বৈধ অবৈধ বুঝি না। আমাদের এই ঘাট চালু না হলে আমরা আন্দোলন নামব। অন্যদিকে এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লক BDO অনুজ সিকদার বলেন, সরকারিভাবে অবৈধ ফেরি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই রঘুনাথপুর ও ডাঙ্গি ঘাটটি বন্ধ করা হয়েছে।