ETV Bharat / state

Special Story : 70 পেরোলেও সকাল হলেই ঝাড়ুু হাতে রায়গঞ্জের রাস্তায় নামেন রামানন্দ - রামানন্দ দাস

প্রতিদিন ঘুম থেকেই উঠে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে নেমে পড়েন রামানন্দ । তবে নিজেও স্বীকার করেছেন বর্তমান পৌরসভা রায়গঞ্জ শহরকে যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে । কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলাতে পারেননি তিনি । সকাল হতেই ঝাড়ু আর কোদাল হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ৷

রায়গঞ্জের স্বেচ্ছায় ঝাড়ুদার রামানন্দ
রায়গঞ্জের স্বেচ্ছায় ঝাড়ুদার রামানন্দ
author img

By

Published : Jul 27, 2021, 8:11 PM IST

রায়গঞ্জ, 27 জুলাই : তেত্রিশ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে শহরের নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে চলেছেন 71 বছরের এক বৃদ্ধ ৷ প্রত্যহ রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে নালা-নর্দমার ময়লাও পরিষ্কার করে চলেছেন তিনি ৷ তবে কোনও পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয় ৷ শুধুমাত্র শহরকে পরিষ্কার রাখার লক্ষ্যেই তাঁর এই স্বেচ্ছাশ্রম ৷

এমনই এক বিরল সমাজকর্মীর দেখা মিলল উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে । নাম রামানন্দ দাস ৷ পৈতৃক ভিটে অসমের লখিমপুর । 1972 সালে অসমে ঝামেলার সময় চার ভাই ও দুই বোনের সংসার ছেড়ে রামানন্দ চলে আসেন মফঃস্বল শহর রায়গঞ্জে । প্রথম দিকে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকলেও রায়গঞ্জ শহরের বিবেকানন্দ মোড় এলাকায় একটি জামা কাপড়ের দোকান করেন তিনি । সেই দোকানেই হয় তাঁর মাথা গোঁজার আশ্রয় । দোকানেই তাঁর সংসার । একবেলা হোটেলে নিরামিষ খান আর রাতের বেলা খাবার জুটলে খান, নয়তো না খেয়েই রাত কাটিয়ে দেন রামানন্দবাবু । আগে দেখেছেন রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে জল জমে থাকত, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকত ৷ সেই থেকেই শহরের আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি ।

প্রতিদিন ঘুম থেকেই উঠে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ লিপ্ত হন । তবে নিজেও স্বীকার করেছেন বর্তমান পৌরসভা রায়গঞ্জ শহরকে যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে । কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলাতে পারেননি তিনি । সকাল হতেই ঝাড়ু আর কোদাল হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ৷ যেখানেই দেখেন ময়লা-আবর্জনা জমে আছে তা নিজে হাতে পরিষ্কার করেন । শহরের অলিতে গলিতে যেখানেই দেখেন নোংরা আবর্জনা জমে রয়েছে বা রাস্তা অপরিষ্কার রয়েছে, ঝাড়ু হাতে নেমে পড়েন কাজে ।

স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে শহরের নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে চলেছেন রামানন্দ

আরও পড়ুন : বালি পাচার করতে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে দামোদর

দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রায়গঞ্জ শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার কাজ করে চলেছেন রামানন্দ । আগে ভোর তিনটে থেকেই এই কাজ করতেন ৷ এখন বয়সের ভারে এত সকালে উঠতে পারেন না ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আগের তুলনায় রায়গঞ্জ শহর এখন অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছ্ন্ন । তবুও অভ্যাসের বসে আজও যেখানেই নোংরা আবর্জনা দেখি তা পরিষ্কার করি ।’’

রায়গঞ্জ, 27 জুলাই : তেত্রিশ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে শহরের নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে চলেছেন 71 বছরের এক বৃদ্ধ ৷ প্রত্যহ রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে নালা-নর্দমার ময়লাও পরিষ্কার করে চলেছেন তিনি ৷ তবে কোনও পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয় ৷ শুধুমাত্র শহরকে পরিষ্কার রাখার লক্ষ্যেই তাঁর এই স্বেচ্ছাশ্রম ৷

এমনই এক বিরল সমাজকর্মীর দেখা মিলল উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে । নাম রামানন্দ দাস ৷ পৈতৃক ভিটে অসমের লখিমপুর । 1972 সালে অসমে ঝামেলার সময় চার ভাই ও দুই বোনের সংসার ছেড়ে রামানন্দ চলে আসেন মফঃস্বল শহর রায়গঞ্জে । প্রথম দিকে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকলেও রায়গঞ্জ শহরের বিবেকানন্দ মোড় এলাকায় একটি জামা কাপড়ের দোকান করেন তিনি । সেই দোকানেই হয় তাঁর মাথা গোঁজার আশ্রয় । দোকানেই তাঁর সংসার । একবেলা হোটেলে নিরামিষ খান আর রাতের বেলা খাবার জুটলে খান, নয়তো না খেয়েই রাত কাটিয়ে দেন রামানন্দবাবু । আগে দেখেছেন রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে জল জমে থাকত, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকত ৷ সেই থেকেই শহরের আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি ।

প্রতিদিন ঘুম থেকেই উঠে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ লিপ্ত হন । তবে নিজেও স্বীকার করেছেন বর্তমান পৌরসভা রায়গঞ্জ শহরকে যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে । কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলাতে পারেননি তিনি । সকাল হতেই ঝাড়ু আর কোদাল হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ৷ যেখানেই দেখেন ময়লা-আবর্জনা জমে আছে তা নিজে হাতে পরিষ্কার করেন । শহরের অলিতে গলিতে যেখানেই দেখেন নোংরা আবর্জনা জমে রয়েছে বা রাস্তা অপরিষ্কার রয়েছে, ঝাড়ু হাতে নেমে পড়েন কাজে ।

স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে শহরের নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে চলেছেন রামানন্দ

আরও পড়ুন : বালি পাচার করতে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে দামোদর

দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রায়গঞ্জ শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার কাজ করে চলেছেন রামানন্দ । আগে ভোর তিনটে থেকেই এই কাজ করতেন ৷ এখন বয়সের ভারে এত সকালে উঠতে পারেন না ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আগের তুলনায় রায়গঞ্জ শহর এখন অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছ্ন্ন । তবুও অভ্যাসের বসে আজও যেখানেই নোংরা আবর্জনা দেখি তা পরিষ্কার করি ।’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.