ETV Bharat / state

গঙ্গারামপুরে চলছে নজরদারি, 10 দিন হোটেলে বন্দী 10 তৃণমূল কাউন্সিলর !

কলকাতা হাইকোর্ট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশকে 18 জন কাউন্সিলরকে নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল ৷ কিন্তু গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের অভিযোগ, 18 জনের মধ্যে 10 জনকে নিরাপত্তার নামে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে বালুরঘাটের একটি বেসরকারি হোটেলে ৷

পুলিশি নজরদারিতে দশ কাউন্সিলর
author img

By

Published : Aug 4, 2019, 1:56 PM IST

Updated : Aug 4, 2019, 5:36 PM IST

বালুরঘাট, 4 আগস্ট: তৃণমূলের 10 জন কাউন্সিলরকে প্রায় 10 দিন ধরে বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে । হোটেলের সামনে 24 ঘণ্টার জন্য মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ৷ কলকাতা হাইকোর্ট গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলরের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল ৷ সেখানে 10 জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । যদিও গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার সাফ জানিয়েছেন, তাঁর কাউন্সিলরদের কোথায় রাখা হবে সেটা তাঁদের ব্যাপার ।

আরও পড়ুন: নজরদারি চালাতে গঙ্গারামপুরের কাউন্সিলরদের বাড়ির সামনে বসছে CCTV !

উল্লেখ্য, চলতি বছর 24 জুন তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র BJP-তে যোগ দেন ৷ এরপরই গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন 10 জন কাউন্সিলর । 25 তারিখ প্রশান্ত মিত্র ও তাঁর ভাই চিরঞ্জীব মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় । এদিকে অনাস্থা আনার কিছুদিনের মধ্যেই পৌর আইনের বলে প্রশান্তবাবু তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে অপসারণ করেন । নতুন ভাইস চেয়ারম্যান পদে তুলসিপ্রসাদ চৌধুরিকে বসান । পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । যার ফলে গত 23 জুলাই তলবি সভার উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট । চলতি মাসে 5 তারিখ অনাস্থা সংক্রান্ত বৈঠকের কথা বলা হয় ৷

councilor, tmc, surveillance
এই হোটেলেই নজরবন্দী 10 তৃণমূল কাউন্সিলর

গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে হবে ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকেই অর্পিতা ঘোষ ঘনিষ্ঠ গঙ্গারামপুর পৌরসভার 10 তৃণমূল কাউন্সিলরকে কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ঘোরা হয় । গতমাসের 26 তারিখ ওই 10 জনকে জেলায় ফেরত আনা হয় । সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে দাবি করে তাঁরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন । এদিকে ওই দিন থেকেই ওই কাউন্সিলরদের বালুরঘাটের একটি বেসরকারি হোটেলে রাখা হয় ৷ সারাক্ষণের জন্য হোটেলের চারপাশে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ৷

councilor, tmc, surveillance
10 দিন হোটেলে বন্দী 10 তৃণমূল কাউন্সিলর

আরও পড়ুন: গঙ্গারামপুর পৌরসভা : তৃণমূলের আনা অনাস্থার নোটিশ খারিজ হাইকোর্টের

এবিষয়ে প্রশান্ত মিত্রের বক্তব্য, অনাস্থা আনার পর থেকেই ওই কাউন্সিলরদের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হচ্ছে । যাতে তাঁরা কোনওভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখতে পারেন ৷ এখন তাঁদের বালুরঘাটের একটি হোটেলে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে । যেখানে 24 ঘণ্টার জন্য মোতায়েন রয়েছে পুলিশ । হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল 18 জনের নিরাপত্তা দিতে হবে ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র 10 জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে । তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বাকি 8জনকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি কেন ?

councilor, tmc, surveillance
10 দিন হোটেলে বন্দী 10 তৃণমূল কাউন্সিলর

অন্যদিকে অমলেন্দুবাবু বলেন, "ও (প্রশান্ত মিত্র) বলবার কে? ও (প্রশান্ত মিত্র) তৃণমূল তো করে না । করে BJP ৷ যার জন্য জেলা তৃণমূল সুপ্রিমো সারা জীবনের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করেছে । ও (প্রশান্ত মিত্র) বলার কে আমার কাউন্সিলর কোথায় থাকবে না থাকবে । কোথায় আটকে রাখব ? কী করব ? সেটা আমাদের ব্যাপার । যারা তৃণমূল করবে তারা তৃণমূলে থাকবে । যারা তৃণমূল করবে না তারা BJP-তে যাবে । এই তো কথা । ওদের সঙ্গে পারিবারিক ঝগড়া নয় । রাজনৈতিক ঝগড়া ।"

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: নতুন ভাইস চেয়ারম্যান বসিয়ে আস্থা ভোটে সময় নিলেন প্রশান্ত মিত্র

অন্যদিকে BJP-র জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, "গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলরকেই নিরাপত্তা দিতে বলেছে আদালত । কিন্তু 10 জনকে 10 দিন ধরে হোটেলে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে ৷ এর আগে এমন হয়েছে বলে কোনওদিন তাঁরা শোনেননি । গঙ্গারামপুর পৌরসভা দখল করতেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এই ঘৃণ্যতম পন্থা অবলম্বন করেছে শাসকদল । তবে বেশিদিন এসব চলবে না । এভাবে মানুষকে আটকে রাখা সম্ভব নয় ।"

আরও পড়ুন: গঙ্গারামপুর পৌরসভা : 16 কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে, দাবি প্রশান্তর

যদিও জেলা পুলিশ প্রশাসন এবিষয়ে কিছু বলতে চায়নি ।

বালুরঘাট, 4 আগস্ট: তৃণমূলের 10 জন কাউন্সিলরকে প্রায় 10 দিন ধরে বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে । হোটেলের সামনে 24 ঘণ্টার জন্য মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ৷ কলকাতা হাইকোর্ট গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলরের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল ৷ সেখানে 10 জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । যদিও গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার সাফ জানিয়েছেন, তাঁর কাউন্সিলরদের কোথায় রাখা হবে সেটা তাঁদের ব্যাপার ।

আরও পড়ুন: নজরদারি চালাতে গঙ্গারামপুরের কাউন্সিলরদের বাড়ির সামনে বসছে CCTV !

উল্লেখ্য, চলতি বছর 24 জুন তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র BJP-তে যোগ দেন ৷ এরপরই গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন 10 জন কাউন্সিলর । 25 তারিখ প্রশান্ত মিত্র ও তাঁর ভাই চিরঞ্জীব মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় । এদিকে অনাস্থা আনার কিছুদিনের মধ্যেই পৌর আইনের বলে প্রশান্তবাবু তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে অপসারণ করেন । নতুন ভাইস চেয়ারম্যান পদে তুলসিপ্রসাদ চৌধুরিকে বসান । পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । যার ফলে গত 23 জুলাই তলবি সভার উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট । চলতি মাসে 5 তারিখ অনাস্থা সংক্রান্ত বৈঠকের কথা বলা হয় ৷

councilor, tmc, surveillance
এই হোটেলেই নজরবন্দী 10 তৃণমূল কাউন্সিলর

গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে হবে ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকেই অর্পিতা ঘোষ ঘনিষ্ঠ গঙ্গারামপুর পৌরসভার 10 তৃণমূল কাউন্সিলরকে কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ঘোরা হয় । গতমাসের 26 তারিখ ওই 10 জনকে জেলায় ফেরত আনা হয় । সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে দাবি করে তাঁরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন । এদিকে ওই দিন থেকেই ওই কাউন্সিলরদের বালুরঘাটের একটি বেসরকারি হোটেলে রাখা হয় ৷ সারাক্ষণের জন্য হোটেলের চারপাশে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ৷

councilor, tmc, surveillance
10 দিন হোটেলে বন্দী 10 তৃণমূল কাউন্সিলর

আরও পড়ুন: গঙ্গারামপুর পৌরসভা : তৃণমূলের আনা অনাস্থার নোটিশ খারিজ হাইকোর্টের

এবিষয়ে প্রশান্ত মিত্রের বক্তব্য, অনাস্থা আনার পর থেকেই ওই কাউন্সিলরদের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হচ্ছে । যাতে তাঁরা কোনওভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখতে পারেন ৷ এখন তাঁদের বালুরঘাটের একটি হোটেলে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে । যেখানে 24 ঘণ্টার জন্য মোতায়েন রয়েছে পুলিশ । হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল 18 জনের নিরাপত্তা দিতে হবে ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র 10 জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে । তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বাকি 8জনকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি কেন ?

councilor, tmc, surveillance
10 দিন হোটেলে বন্দী 10 তৃণমূল কাউন্সিলর

অন্যদিকে অমলেন্দুবাবু বলেন, "ও (প্রশান্ত মিত্র) বলবার কে? ও (প্রশান্ত মিত্র) তৃণমূল তো করে না । করে BJP ৷ যার জন্য জেলা তৃণমূল সুপ্রিমো সারা জীবনের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করেছে । ও (প্রশান্ত মিত্র) বলার কে আমার কাউন্সিলর কোথায় থাকবে না থাকবে । কোথায় আটকে রাখব ? কী করব ? সেটা আমাদের ব্যাপার । যারা তৃণমূল করবে তারা তৃণমূলে থাকবে । যারা তৃণমূল করবে না তারা BJP-তে যাবে । এই তো কথা । ওদের সঙ্গে পারিবারিক ঝগড়া নয় । রাজনৈতিক ঝগড়া ।"

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: নতুন ভাইস চেয়ারম্যান বসিয়ে আস্থা ভোটে সময় নিলেন প্রশান্ত মিত্র

অন্যদিকে BJP-র জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, "গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18 জন কাউন্সিলরকেই নিরাপত্তা দিতে বলেছে আদালত । কিন্তু 10 জনকে 10 দিন ধরে হোটেলে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে ৷ এর আগে এমন হয়েছে বলে কোনওদিন তাঁরা শোনেননি । গঙ্গারামপুর পৌরসভা দখল করতেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এই ঘৃণ্যতম পন্থা অবলম্বন করেছে শাসকদল । তবে বেশিদিন এসব চলবে না । এভাবে মানুষকে আটকে রাখা সম্ভব নয় ।"

আরও পড়ুন: গঙ্গারামপুর পৌরসভা : 16 কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে, দাবি প্রশান্তর

যদিও জেলা পুলিশ প্রশাসন এবিষয়ে কিছু বলতে চায়নি ।

Intro:নিরাপত্তার নামে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১০ কাউন্সিলরকে হোটেলে পুলিশি নজরবন্দী করে রাখার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সরব চেয়ারম্যান।।

বালুরঘাট, ৩ আগস্ট: তৃণমূলের ১০ জন কাউন্সিলরকে প্রায় দশ দিন ধরে বালুরঘাট রঘুনাথপুর এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। হোটেলের সামনে ২৪ ঘন্টার জন্য রয়েছে পুলিশ মোতায়ন। যেখানে কলকাতা হাইকোর্ট গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮ জন কাউন্সিলরকেই নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে ১০ জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে নজর বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। যদিও গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার সাফ জানিয়েছেন তার যারা কাউন্সিলার রয়েছে তাদের কোথায় রাখবে সেটা তাদের ব্যাপার।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দিতেই গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ১০ জন কাউন্সিলর। পর দিন অর্থাৎ ২৫ জুন প্রশান্ত মিত্র ও তার ভাই চিরঞ্জীব মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে অনাস্থা আনার কিছুদিনের মধ্যেই পৌর আইনের বলে চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে পদ থেকে অপসারণ করেন। এরপরই ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন করে তুলসী প্রসাদ চৌধুরীকে পদে বসানো প্রশান্ত মিত্র। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। যার ফলে গত ২৩ জুলাই তলবি সভা উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। চলতি মাসে ৫ তারিখে সেই সভার কথা জানায় উচ্চ আদালত।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশকে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮ জন কাউন্সিরের নিরাপত্তা দিতে হবে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে অনাস্থা ঢাকার পরেই গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১০ জন তৃণমূল কাউন্সিলর যারা জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ঘনিষ্ঠ তাদেরকে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়া হয়। গত ২৬ জুলাই ওই ১০ জনকে জেলায় ফেরত আনা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছেন বলে ওই কাউন্সিলররা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে ওই দিন থেকেই ওই কাউন্সিলরদের বালুর্ঘট একটি বেসরকারি হোটেলে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। সারাক্ষণের জন্য পুলিশ মোতায়েন আছে হোটেলের চারপাশে। হোটেলের সামনে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখতেই কাউন্সিলররা আড়াল হয়ে যায়। কাউন্সিলরদের জন্য জম্পেশ খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। তবে একটু হলেও তারা ভীত সন্ত্রস্ত মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পরিবার থেকে দূরে রয়েছেন তারা। হোটেল থাকলেও মন টানে বাড়ির জন্য যে।

এবিষয়ে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র জানান, অনাস্থা আনার পর থেকেই ওই কাউন্সিলরদের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হচ্ছে। তারা যাতে কোনো রকম ভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ না রাখতে পারে এর জন্যই নজর বন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন তাদের বালুরঘাটের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। যেখানে ২৪ ঘন্টার জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ১৮ জনের নিরাপত্তা দিতে হবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র ১০ জনের নিরাপত্তার নামে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বাকিদের কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থায় নেই।

এবিষয়ে গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার জানান, ও বলবার কে? ও তো তৃণমূল করে না। ও করে বিজেপি। যার জন্য জেলা তৃণমূল সুপ্রিমো তাকে যাবজ্জীবনের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। ও বলার কে আমার কাউন্সিলার কোথায় থাকবে না থাকবে। আর ও দেখারই বা কে। কোথায় আটকায় রাখব কি করবো সেটা আমাদের ব্যাপার। যারা তৃণমূল করবে তারা তৃণমূলে থাকবে। যারা তৃণমূল করবে না তারা বিজেপিতে থাকবে। এই তো কথা। ওদের সঙ্গে পারিবারিক ঝগড়া নয়। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঝগড়া। যারা তৃণমূল করবে তারা তাদের সঙ্গে থাকবে। আর যারা বিজেপিতে যাবে ওদের সঙ্গে থাকবে।

অন্য দিকে এবিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার জানান, তারা শুনেছেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮ জন কাউন্সিলার কেই নিরাপত্তা দিতে বলেছে উচ্চ আদালত। তবে যা দেখছি ১০ জন কাউন্সিলরকে বিগত প্রায় ১০ দিন ধরে বালুরঘাটের একটি হোটেলে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। এর আগে এমন হতো না কোনোদিন তার শোনেননি। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ক্ষমতা দখল করতেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এই ঘৃণ্যতম পন্থা অবলম্বন করেছে তৃণমূল। তবে এ আর বেশিদিন চলবে না। এভাবে মানুষকে আটকে রাখা সম্ভব নয়।

যদিও এই বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসন এনিয়ে কিছু বলতে চাননি।


Body:Balurghat


Conclusion:Balurghat
Last Updated : Aug 4, 2019, 5:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.