ঢোলাহাট, 24 অক্টোবর: পাচার হয়ে যাওয়া এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আরও দুই নাবালিকা-সহ 5 জন মহিলাকে দিল্লির মদনপুর-খাদার এলাকার একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার (Women Rescued) করল ঢোলাহাট থানার পুলিশ । ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হয়েছে পাচারকাণ্ডের (Women Trafficking) মূল পাণ্ডাকে ।
30 সেপ্টেম্বর আয়ার কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ঢোলাহাট এলাকার এক গৃহবধূকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিল এলাকার দুই বাসিন্দা । তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিল । অভিযোগ, সেখানে পৌঁছনোর পরই একটি ঘরের মধ্যে ওই গৃহবধূকে আটকে রাখা হয়। সেই ঘরে দুই নাবালিকা-সহ আরও পাঁচজন মহিলা আগে থেকেই আটকে ছিলেন । পরে ওই বধূ জানতে পারেন, আটকে থাকা সবাই ঢোলাহাট এলাকার বাসিন্দা । তাঁদের প্রত্যেককে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হবে বলে জানায় অভিযুক্ত ।
আরও পড়ুন: Giant Bhola Fish : সুন্দরবনের নদীতে মানুষ সমান তেলে ভোলা, বিক্রি হল 50 লাখে
এরপরই পাচারকারীদের হাত থেকে পালানোর জন্য বুদ্ধি খাটান ওই গৃহবধূ । অভিযুক্ত পাচারকারীদের তিনি জানান, সন্তানদের জন্য মন খারাপ করছে তাই তিনি বাড়ি ফিরতে চান । কিন্তু প্রথমে রাজি না-হলেও পরে মহিলার কাতর অনুরোধে রাজি হয়ে যায় তারা । বাড়ি যাওয়ার জন্য ছাড় পাওয়ার পরই ওই মহিলা সোজা চলে যান পুলিশ স্টেশনে । সেখানে সম্পূর্ণ ঘটনার জানান তিনি ।
আরও পড়ুন: Hiran Chatterjee : প্রধানমন্ত্রীর দফতরে শহিদদের নামে রাস্তাঘাট নামকরণের প্রস্তাব হিরণের
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে । এরপর ঢোলাহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর শুভেন্দু দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দিল্লির মদনপুর-খাদার এলাকায় হানা দেয় ।
আরও পড়ুন: Bansdroni Death : দুটি হাত তারে জড়ানো, নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ
পুলিশ সূত্রের খবর, আগে যে সব মহিলাকে পাচার করেছে অভিযুক্তরা, তাঁদের হয় প্রেমের প্রস্তাব, নয়তো মোটা টাকা কাজের লোভ দেখিয়ে দিল্লিতে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল । ঘটনাস্থল থেকেই হাতেনাতে গ্রেফতার হয় মূল পাণ্ডাকে । উদ্ধার হওয়া সব মহিলা-সহ ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে ঢোলাহাটে নিয়ে আসা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Electric Shock Death: শহরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট 13 জনের মৃত্যু