উস্থি, 30 জানুয়ারি: বিয়ের কয়েকমাস পরই যুবককে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরূদ্ধে (woman tries to kill husband by poisoning)। বিষক্রিয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার উস্থি থানার অন্তর্গত দেউলার কানপুরে । এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত জনতা স্ত্রীর বাপের বাড়ির উপর চড়াও হয় । ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উস্থির কানপুর এলাকার বাসিন্দা শেখর হালদার (30) গত 5 মাস আগে গ্রামেরই এক যুবতিকে প্রেম করে বিয়ে করেন । বিয়ের কিছুদিন পরেই পারিবারিক অশান্তির জেরে শেখরের স্ত্রী শ্রাবণী হালদার বাপের বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকেই শেখর ও শ্রাবণী আলাদাই থাকতেন । শেখর হালদারের পরিবারের লোকজনের দাবি, সোমবার শেখরের স্ত্রী তাঁকে ফোন করে বাপের বাড়িতে ডাকেন। এর পরেই তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন শেখরকে মারধর করে জোর করে বিষ খাইয়ে দিয়েছে ৷ এমনই অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনার পর স্ত্রী শ্রাবণী হালদারের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা ।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় উস্থি থানার পুলিশ । পরে আশংকাজনক অবস্থায় শেখর হালদারকে উদ্ধার করে প্রথমে বানেশ্বরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় । ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশবাহিনী । ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা ওই যুবকের শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজনদের উপর চড়াও হয় ৷ এমনকী বাড়ি ভাঙচুর করে ৷
পুলিশ ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে তাঁদেরকে বাঁচাতে শ্রাবণীর পরিবারের লোকজনদের আটক করে নিয়ে যায় ৷ সেই সময় পুলিশের হাত থেকে তাঁদেরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ক্ষুদ্ধ জনতা । গ্রামবাসীরা পুলিশকে তাড়া করে ৷ পুলিশ গ্রামবাসীদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে ছুটতে থাকে অভিযুক্তদের নিয়ে । এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিনজনকে ।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী একই পরিবারে 2