পাথরপ্রতিমা, 25 অগস্ট: রক্ষকই ভক্ষক, এই কথাই যেন সত্যি হলো দক্ষিণ 24 পরগনার পাথরপ্রতিমা থানার দূর্বা চটি এলাকায় ৷ এখানে নিজের স্ত্রীকে খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ ৷ ধৃতের নাম অপূর্ব প্রধান ৷ শুক্রবার ধৃত ব্যক্তিকে কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয় ৷ আদালত তাকে 14 দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷
একই এলাকায় বাড়ি থাকায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও ওই মহিলার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ৷ মৃতার বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পাওয়ার পরে প্রায় 10 বছর আগে বিয়ে হয় 2 জনের ৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় ৷ শারীরিক অত্যাচারও চলত ওই মহিলার উপর ৷ তাঁদের একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তাও রয়েছে ৷ মেয়ের বয়স 10 বছরের কাছাকাছি, ছেলের বয়স এক বছর ৷ বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূর বাড়ির লোকেরা হঠাৎ করে জানতে পারেন তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে ৷
এরপর মেয়েকে দেখার জন্য পাথরপ্রতিমার মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালে গেলে তাঁরা জানতে পারেন, মেয়ে মারা গিয়েছেন ৷ এর পরেই মৃতার পরিবারের তরফে জামাই অপূর্ব প্রধানের নামে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তার বিরুদ্ধে 498 এ বধূ নির্যাতন ও 302 ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই মহিলার ময়নাতদন্ত হয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া! গণধর্ষণ করে নাবালিকাকে গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলল 3 যুবক
অভিযুক্ত জামাইয়ের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার ৷ মা মৃত, বাবা পুলিশের হেফাজতে, এই অবস্থায় দুই বাচ্চার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন মৃতার বাড়ির লোকজন ৷