ETV Bharat / state

Sagar Island Bridge: সাগর জুড়বে 4-লেন সেতু, রাইটসের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন

সীমান্তের ওপারে পদ্মার উপর সেতু তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার নিজে ৷ আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ না পেয়েই ৷ এবার কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই রাজ্য সরকার সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ৷ গঙ্গাসাগরের উপর তৈরি হবে 4টি লেনের এই সেতু (Gangasagar Bridge) ৷

GangaSagar Land Bridge over Bhagirathi
গঙ্গাসাগর পারাপারে ভাগীরথী মরিগঙ্গায় সেতু
author img

By

Published : Aug 2, 2022, 11:13 AM IST

গঙ্গাসাগর/কলকাতা, 2 অগস্ট: পদ্মার উপর সেতু তৈরি করে একরকম অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার । এপার বাংলায় তারই শাখা নদী ভাগীরথীর মোহনা অর্থাৎ মরিগঙ্গার উপর সেতু তৈরি করতে উৎসাহী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল রাজ্য (WB Government plan of 4 lane Sagar bridge waiting for approval of Rights) ।

আর কেন্দ্র নয়, রাজ্য সরকার সেতু তৈরি করবে নিজের উদ্যোগেই । সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় একরকম জীবন হাতে নিয়েই সাগর পারাপার করতে হয় মানুষকে । তাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ পথকে সুগম করতে এবার উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার । রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে এই সেতুর দৈর্ঘ্য 9.6 কিলোমিটার, যেখানে নদীর উপর রয়েছে 3.2 কিলোমিটার ।

রাজ্য সরকারের তৈরি করা পরিকল্পনা অনুসারে চার লেনের এই সেতুটি তৈরি করতে মোট 1 হাজার 648 কোটি টাকা । সরাসরি এই সেতু সাগরদ্বীপকে 117 নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে । এই প্রস্তাবিত সেতু নিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতর ইতিমধ্যে একটি ডিপিআর তৈরি করে ফেলেছে । তৈরি করা হয়েছে ব্লু প্রিন্টও । এবার বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস সেতু নির্মাণের এই খরচের যৌক্তিকতাও যাচাই করবে । তাদের ছাড়পত্র মিললেই পরবর্তী কাজ শুরু হবে ।

আরও পড়ুন: ঢাকা-কলকাতা আরও কাছাকাছি, বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু খুলে দিলেন শেখ হাসিনা

এই মুহূর্তে রাজ্যে কোষাগারের অবস্থা ভালো নয় । অনিচ্ছা সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের জন্য এখানে টোল গ্রহণ করতে হবে রাজ্যকে । এই ব্রিজ তৈরি হলে সাগরকে কেন্দ্র করে সারা বছর অন্তত 20 লক্ষ পর্যটক মিলবে । কারণ এখন জলপথই দ্বীপে পৌঁছনোর একমাত্র উপায় । তাই বহু পর্যটক সাগর মেলাতেও আসতে চান না । এছাড়া দ্বীপে থাকা সাধারণ মানুষ তাদের কৃষিজ পণ্য অথবা অন্য দরকারে তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে পারেন না । এখনও তাদের একমাত্র ভরসা এই জলপথ ।

রাজ্য পূর্ত দফতর আর্থিক সংকটের জন্য পিপিপি বা বিওটি মডেলের বদলে হাইব্রিড অ্যানুইটি মোড অর্থাৎ হ্যাম মডেল সামনে রেখে এই সেতু নির্মাণ করতে চায় । এতে মূল প্রকল্পের নির্মাণ খরচের 40 শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার দেবে । বাকি টাকা নির্মাণকারী সংস্থা দেবে । তিন বছরের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ করে 15 বছর ধরে টোল বসিয়ে সেই টাকা তুলে নেবে সংস্থা । এই সময় ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নির্মাণকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে । সূত্রের খবর, এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যসচিব রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । কবে রাজ্যবাসীর স্বপ্নের ব্রিজ সাগরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারে ? সময়ই তা বলবে ৷

আরও পড়ুন: মৈত্রী দিবসে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তা মোদির

গঙ্গাসাগর/কলকাতা, 2 অগস্ট: পদ্মার উপর সেতু তৈরি করে একরকম অসাধ্য সাধন করেছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার । এপার বাংলায় তারই শাখা নদী ভাগীরথীর মোহনা অর্থাৎ মরিগঙ্গার উপর সেতু তৈরি করতে উৎসাহী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল রাজ্য (WB Government plan of 4 lane Sagar bridge waiting for approval of Rights) ।

আর কেন্দ্র নয়, রাজ্য সরকার সেতু তৈরি করবে নিজের উদ্যোগেই । সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় একরকম জীবন হাতে নিয়েই সাগর পারাপার করতে হয় মানুষকে । তাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ পথকে সুগম করতে এবার উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার । রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে এই সেতুর দৈর্ঘ্য 9.6 কিলোমিটার, যেখানে নদীর উপর রয়েছে 3.2 কিলোমিটার ।

রাজ্য সরকারের তৈরি করা পরিকল্পনা অনুসারে চার লেনের এই সেতুটি তৈরি করতে মোট 1 হাজার 648 কোটি টাকা । সরাসরি এই সেতু সাগরদ্বীপকে 117 নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে । এই প্রস্তাবিত সেতু নিয়ে রাজ্যের পূর্ত দফতর ইতিমধ্যে একটি ডিপিআর তৈরি করে ফেলেছে । তৈরি করা হয়েছে ব্লু প্রিন্টও । এবার বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস সেতু নির্মাণের এই খরচের যৌক্তিকতাও যাচাই করবে । তাদের ছাড়পত্র মিললেই পরবর্তী কাজ শুরু হবে ।

আরও পড়ুন: ঢাকা-কলকাতা আরও কাছাকাছি, বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু খুলে দিলেন শেখ হাসিনা

এই মুহূর্তে রাজ্যে কোষাগারের অবস্থা ভালো নয় । অনিচ্ছা সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের জন্য এখানে টোল গ্রহণ করতে হবে রাজ্যকে । এই ব্রিজ তৈরি হলে সাগরকে কেন্দ্র করে সারা বছর অন্তত 20 লক্ষ পর্যটক মিলবে । কারণ এখন জলপথই দ্বীপে পৌঁছনোর একমাত্র উপায় । তাই বহু পর্যটক সাগর মেলাতেও আসতে চান না । এছাড়া দ্বীপে থাকা সাধারণ মানুষ তাদের কৃষিজ পণ্য অথবা অন্য দরকারে তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে পারেন না । এখনও তাদের একমাত্র ভরসা এই জলপথ ।

রাজ্য পূর্ত দফতর আর্থিক সংকটের জন্য পিপিপি বা বিওটি মডেলের বদলে হাইব্রিড অ্যানুইটি মোড অর্থাৎ হ্যাম মডেল সামনে রেখে এই সেতু নির্মাণ করতে চায় । এতে মূল প্রকল্পের নির্মাণ খরচের 40 শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার দেবে । বাকি টাকা নির্মাণকারী সংস্থা দেবে । তিন বছরের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ করে 15 বছর ধরে টোল বসিয়ে সেই টাকা তুলে নেবে সংস্থা । এই সময় ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নির্মাণকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে । সূত্রের খবর, এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যসচিব রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । কবে রাজ্যবাসীর স্বপ্নের ব্রিজ সাগরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারে ? সময়ই তা বলবে ৷

আরও পড়ুন: মৈত্রী দিবসে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তা মোদির

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.