ডায়মন্ডহারবার, 15 অগস্ট : কোভিড পরিস্থিতির জেরে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ স্কুল ৷ যার প্রভাবে বই পড়ার অভ্যেস অনেকটাই কমেছে গ্রামীণ পড়ুয়াদের মধ্যে ৷ তাই অপেক্ষাকৃত নিচু শ্রেণির স্কুল পড়ুয়াদের বইমুখী করতে কমিউনিটি লাইব্রেরি (Community Library) 'বোধিপীঠ' চালু করলেন দক্ষিণ 24 পরগনার কুলপির যুবক সৌম্যদীপ্ত বসু (Soumyadeepta Bose) ৷ কুলপির দেরিয়ার বাসিন্দা সৌম্যদীপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজসেবা বিভাগের ছাত্র ৷
লকডাউনের সময় থেকে বাড়িতেই রয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৌম্যদীপ্ত বসু ৷ বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে তাঁর এলাকার পড়ুয়াদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যেসটা চলে গিয়েছে ৷ সারাদিন বাড়িতে থেকে অনলাইনে সব পড়াশোনা ৷ খুব কাছ থেকে এই পরিস্থিতিটা দেখেছিলেন সৌম্যদীপ্ত ৷ সেখান থেকে একটি ছোট লাইব্রেরি তৈরির কথা ভাবেন তিনি ৷ সেই মতো তাঁর দেরিয়া গ্রামে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে অল্প কিছু বই নিয়ে লাইব্রেরি শুরু করেছিলেন সৌম্যদীপ্ত ৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই স্কুল পড়ুয়ারা সেখানে গিয়ে বই নিয়ে পড়তে শুরু করে ৷ যা দেখে উৎসাহ বাড়ে সৌম্যদীপ্তর ৷ সে ঠিক করে তাঁর গ্রামে একটি কমিউনিটি লাইব্রেরি চালু করবেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : হুগলি নদীর উপর ভাসমান গ্রন্থাগার
যেমন ভাবনা, ঠিক তেমনি কাজ ৷ নিজের উদ্যোগে গ্রামে একটি কমিউনিটি লাইব্রেরি খোলেন তিনি ৷ লাইব্রেরির নাম দেন বোধিপীঠ ৷ সেই কমিউনিটি লাইব্রেরি সফল হওয়ার পর, ধীরে ধীরে তা আশেপাশের গ্রামেও খুলতে শুরু করেন সৌম্যদীপ্ত বসু ৷ বর্তমানে কুলপির বড়বেড়িয়া, সর্দারপাড়া, রামরামপুর ও দেরিয়া গ্রামে এই কমিউনিটি লাইব্রেরি রয়েছে ৷ সব মিলিয়ে হাজারের বেশি বই রয়েছে ছ’টি কমিউনিটি লাইব্রেরিতে ৷ করোনার কারণে সেখানে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেতে হয় পড়ুয়াদের ৷ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও 4টি লাইব্রেরি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সৌম্যদীপ্ত বসুর ৷