ফলতা, 19 এপ্রিল : মাটিতে ফেলে বাঁশ দিয়ে এক ব্যক্তিকে প্রচণ্ড মার (Viral video of Beating at Falta) ৷ আক্রান্তকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রীও । এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আহত দু'জনকে উদ্ধার করে ফলতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মারধরের ভিডিয়োটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত।
এই মারধরের ঘটনাটি গত মাসের। অভিযোগ, যিনি মারছেন তিনি এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। যাঁকে মারা হচ্ছে, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা কুন্তল মজুমদার। কুন্তল মজুমদার পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ৷ তিনি বলেন, "নিজের জমিতে ফুল-ফলের নার্সারি তৈরির জন্য মাটি ফেলছিলাম৷ সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন প্রামাণিক আমার কাছে দু'লক্ষ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় আমাকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "নানাভাবে হুমকি দেওয়ার ফলে আমাকে বাড়ি ছাড়াও হতে হয়। তাঁর স্ত্রী জুঁই মজুমদার ৷ তিনি পেশায় শিক্ষিকা ও তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্যও ৷ তাঁকেও চুলের মুঠি ধরে মাঠিতে ফেলে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ জুঁইদেবীর। তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ ৷ তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা ডায়মন্ডহারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ।
আরও পড়ুন : লেক গার্ডেন্সে সিন্ডিকেটের মারামারির ঘটনায় প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, গ্রেফতার 11
এ দিকে পঞ্চায়েত প্রধানের তরফেও কুন্তল-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সনাতনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ডায়মন্ডহারবার জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যয় জানান, ওই ঘটনায় দু'পক্ষই মারধরের অভিযোগ করেছিল। তদন্ত চলছে। ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের যুবনেতা জাহাঙ্গির খান জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছেন ৷