উস্থি, 20 ডিসেম্বর : উস্থিতে আক্রান্ত তৃণমূল যুবনেতার অবস্থা স্থিতিশীল (Usthi Attack Victim is Stable) ৷ উল্লেখ্য, দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের ওই যুব নেতা (Mischief attack on TMC Youth Leader) ৷ পরিবারের দাবি, দলীয় বিধায়কের নির্দেশেই গুলি করা হয়েছে সুজাউদ্দিন গাজিকে ৷ ঘটনার জন্য তৃণমূলের দলীয় কোন্দলকে দায়ী করেছে বিজেপিও ৷ মানতে নারাজ অভিযুক্ত বিধায়ক ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার পাল্টা দাবি, তাঁর নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে ৷ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে এর জন্য এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের বাড়বাড়ন্তকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷ ঘটনা ঘিরে এখনও থমথমে দক্ষিণ 24 পরগনার উস্থি থানা এলাকা (Usthi Attack) ৷
আক্রান্ত সুজাউদ্দিন গাজি মগরাহাট-1 ব্লকের উত্তর কুসুম অঞ্চলের তৃণমূল যুব সভাপতি ৷ রবিবার রাতে দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি ৷ অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা ৷ এর জেরে মারাত্মক জখম হন সুজাউদ্দিন ৷ তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় ৷ সুজাউদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে বাণেশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয় ৷ রবিবার রাতেই অস্ত্রোপচার করা হয় সুজাউদ্দিনের ৷ তাঁর শরীর থেকে দু’টি গুলি বের করা হয় ৷ আপাতত সুজাউদ্দিনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷
সুজাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তাঁকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজাউদ্দিন মগরাহাট-1 ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি ইমরান হাসান এবং উত্তরকুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কুতুবউদ্দিন লস্করের ঘনিষ্ঠ ৷ এই দু’জন আবার স্থানীয় বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বিরোধী গোষ্ঠী ৷ এর জেরেই বেশ কয়েকবার সুজাউদ্দিনকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ এর জন্য বিধায়ককে কাঠগড়ায় তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ রবিবার রাতের ঘটনার পিছনেও বিধায়কের মদত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা ৷
ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, শুধু এই এলাকা নয়, গোটা রাজ্যে যেখানে যত খুনোখুনি, সংঘর্ষ হচ্ছে, সবই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল ৷ তাতে বিরোধীদের কোনও হাত নেই ৷ কিন্তু, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলেই তাদের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির ৷
আরও পড়ুন : Canning TMC Inner Clash : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত ক্যানিং, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী
এদিকে, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন অভিযুক্ত বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ৷ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে ৷ অন্যদিকে, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য হল, কে বা কারা সুজাউদ্দিনকে গুলি করেছে সেটা তদন্তসাপেক্ষ ৷ তবে বিধায়কের সঙ্গে যে তাঁদের একটা মনোমালিন্য চলছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উস্থি থানার পুলিশ ৷ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে ৷