বকুলতলা, 13 মার্চ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় এলাকায় দলের সংগঠনকে জোরদার করতে শুরু করেছে ডান বাম সব পক্ষই । দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক রামশংকর হালদারের নেতৃত্বে গত কয়েকদিন ধরে অঞ্চল কর্মী সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে সংগঠন জোরদার করার কাজ চলছে । সোমবার সেই কর্মসূচি ছিল কুলতলি বিধানসভার গড়দেওয়ানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় । কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রাক্তন বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীদের উপর আচমকা একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ । পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ (Trinamool accused of beating CPIM leader ) ।
এমনকী পুলিশের লাঠি কেঁড়ে নিয়ে এই সিপিএম কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের । ঘটনায় গুরুতর জখম হন রামশংকর । তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি আহতদের । যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদলের নেতারা । ঘটনার প্রতিবাদে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন । কথা বলেন আক্রান্ত সহকর্মীদের সঙ্গে । সেখানে বুথস্তরে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেন সিপিআইএম নেতৃত্ব ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ সিপিএমের । পাশাপাশি পুলিশের হাত থেকে লাঠি কেঁড়ে নিয়ে মারধর করার প্রতিবাদে এদিন সভা অনুষ্ঠিত হয় । পুলিশ ব্যবস্থা না-নিলে অনেক খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুজন । যদিও এ ব্যাপারে জয়নগর দু'নম্বর ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন শেখ পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অপপ্রচার বলে দাবি করেন । তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের রাজনীতি করে না । ওদের নিজস্ব মধ্যে একটি গণ্ডগোল হয় । সেই গণ্ডগোলকে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের রণকৌশল নির্ধারণে শুক্রবার তৃণমূলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকলেন মমতা