ডায়মন্ড হারবার, 7 জানুয়ারি: গত বছর নভেম্বরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফলতা বিধানসভার এলাকায় একটি বিজয়া সম্মেলনে অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ঘোষণা করেছিল আগামী নতুন বছরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় 75 হাজার প্রবীণ নাগরিকদের তিনি বার্ধক্য ভাতা দেবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষণার পর থেকেই দু'দফায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা এলাকায় শুরু হয় নতুন করে আবেদন গ্রহণ করার কাজ। রবিবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পৈলানের মাঠ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 76 হাজার 120 জন প্রবীণ নাগরিকদের হাতে বার্ধক্য ভাতার অর্থ তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই অনুষ্ঠান ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবং পঞ্চায়েতে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে স্থানীয় বিধায়ক ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সরাসরি এই অনুষ্ঠানের সম্প্রসারণ দেখানো হয়। এই সভা থেকে 100 জন প্রবীণ নাগরিকদের হাতে বার্ধক্য ভাতার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে নিজের লোকসভা কেন্দ্র থেকে কার্যত প্রচার শুরু করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মাঠ থেকেই আমি সভা শুরু করি এবং এই মাঠ আমাদের কাছে অত্যন্ত শুভ। তাই কথা দিয়ে কথা রাখার অনুষ্ঠান আমরা এই মাঠেই অনুষ্ঠিত করলাম। আমাদের কর্তব্য এবং দায়বদ্ধতা এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো। আমি মনে করি ধর্মের ভেদাভেদে রাজনীতি নয়। আমি মনে করি ইতিবাচক কাজ নিয়ে যদি মানুষের দোরগোড়া পৌঁছাতে পারি তাহলে মানুষের জীবনে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।"
একই সঙ্গে অভিষেক বলেন, "76 হাজার মানুষের ব্যাংকের অ্য়াকাউন্টে প্রতি মাসে হাজার টাকা করে যাতে পাঠানো সম্ভব হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সভায় মানুষ গিয়েছে ভাষণ শুনতে। আর এই মাঠে তৃণমূলের সভায় মানুষ এসছে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেখতে। আমি যে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যে কোন কথা দিই, সেই কথা রাখার জন্য আমি রক্তের শেষবিন্দু পর্যন্ত চেষ্টা করি।" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতন ভাষণ দিই না, কাজ করে দেখাই ৷ কাজের হিসাব দিয়ে দেখাই। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আমার আশা নেই, ভরসা নেই ৷ খুব শীঘ্রই আমাদের রাজ্যের মা মাটি মানুষ সরকার এই বার্ধক্য ভাতা চালু করবে।" সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "এমন প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রেও নেই। তৃণমূল ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা কোভিডের সময় মানুষের পাশে ছিল না। আমরা কথা দিয়ে কথা রেখেছি। ডায়মন্ড হারবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফলতা মথুরাপুর জল প্রকল্প ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ পানীয় জলের প্রকল্প।"
আরও পড়ুন: