জয়নগর, 27 জুন: ডোমকলে তৃণমূল কর্মীদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পালটা শাসকদলকেই নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর অভিযোগ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী এতদিন এক তরফা মারধর ও ভয়ের দেখাচ্ছিল বিরোধীদের ৷ এবার তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলায় পালানোর পথ পাচ্ছে না তৃণমূলের লোকজন ৷ সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরের প্রচার সভা থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেউ এক তরফা মার খাওয়ার জন্য রাজনীতি করতে আসেনি ৷’’ অন্যদিকে, বিধানসভায় শওকত মোল্লা এবং নওশাদ সিদ্দিকীর সৌজন্যতা নিয়েও দু’পক্ষকে কটাক্ষ করেন তিনি ৷
ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফ এর মধ্যে বোমা-গুলির লড়াই হলেও, সোমবার বিধানসভায় শওকত মোল্লা এবং নওশাদ সিদ্দিকীকে একসঙ্গে দেখা গেল ৷ দু’জনে হাসিমুখে সৌজন্য বিনিময় করলেন ৷ এ নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, রাজনৈতিক এই সৌজন্যতা অবশ্যই থাকবে ৷ তবে, সেটা শুধু উপর তলার নেতাদের মধ্যে থাকলেই চলবে না ৷ প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিচু স্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও সেই সৌজন্যবোধ বজায় রাখার বার্তা দেওয়ার কথা বলেন দিলীপ ৷ তিনি বলেন, ‘‘উপরের তলায় নেতারা দেখা হলে হাসিঠাট্টা করছেন, হাত মেলাচ্ছেন ৷ আর নিচের তলার কর্মীরা মারামারি ও খুনোখুনি করছেন ৷ এটা কোনও সৌজন্যতা নয় ৷’’
নির্বাচনকে ঘিরে এই রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে দিলীপের সাফ বক্তব্য, সৌজন্যতা সব স্তরেই বজায় রাখতে হবে ৷ তবেই রাজ্যে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আবহ তৈরি হবে ৷ আর দিনহাটায় 5 তৃণমূল কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় ৷ দিলীপ ঘোষের দাবি, বাকি রাজনৈতিক দলগুলি এক তরফা তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতে মার খাওয়ার জন্য বসে নেই ৷ প্রতিরোধ হবেই ৷ আর ডোমকলের ঘটনা সেই প্রতিরোধের ফল বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দিনহাটায় গুলি ! মৃত এক; জখম 5
অন্যদিকে, রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো নিয়েও তৃণমূলকে একহাত নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ৷ তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন ৷ যে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে ৷ মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের ৷ উল্লেখ্য, গতকাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কালো পতাকা দেখানো হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে ৷ স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কাজকর্ম আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে তারা ৷