জয়নগর, 16 জুন: তৃণমূলের প্রার্থী বিভ্রাট ৷ একই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে একাধিক মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে বিবাদ ৷ আর তার জেরেই তৈরি হয় সমস্যা ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছে শাসক দল ৷ কিন্তু যাঁরা প্রার্থী হতে চেয়েও দলের অনুমোদন পেলেন না, তাঁরা ভোটের ময়দান থেকে সরে যাবেন ! নাকি গোঁজ প্রার্থী হিসেবে থেকে যাবেন, তার উত্তর মিলবে আরও একদিন পর ৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর 2 নম্বর ব্লকের শাহাজাদাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে 202 নম্বর বুথে মোট চারজন তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেন ৷ এঁদের মধ্য়ে বর্ণালী নস্কর ও অপর্ণা বৈদ্যের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয় তৃণমূলের তরফে ৷ কিন্তু জরিনা গায়েন নামে আরও একজন তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দেওয়াল লিখন করেছেন ৷ এই নিয়েই তৈরি হয় বিবাদ ৷
সোমবার সকালে জরিনা গায়েন দাবি করেন, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন জমা করেছেন ৷ ওই আসনে লক্ষ্মী নাইয়া নামে আরও একজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৷ তাঁর বক্তব্য অবশ্য পাওয়া যায়নি ৷ তবে বর্ণালী নস্করের তরফে জানানো হয়, দলের সিদ্ধান্তই তাঁর কাছে চূড়ান্ত ৷
প্রথমে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে গ্রামবাসী কোন প্রার্থী চাইছে, তাকে আমরা প্রার্থী করব ৷’’ পরে বিকেলের দিকে বিধায়ক জানান, বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে ওই আসনে প্রার্থী হতে চলেছেন বর্ণালী নস্কর ও অপর্ণা বৈদ্য ৷
স্বাভাবিক নিয়মে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে জরিনা ও লক্ষ্মীকে ৷ কিন্তু তাঁরা যদি তা না করেন, তাহলে নির্দল হিসেবে লড়তে হবে তাঁদের ৷ সেক্ষেত্রে ভোটের ময়দানে গোঁজ কাঁটায় বিদ্ধ হতে হবে শাসক দল তৃণমূলকে ৷ তাই এখনই এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ৷ বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি মিন্টু হালদার বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ভাগ করে খাওয়ার জন্য একাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল ।’’
আরও পড়ুন: ভাঙড়ের ঘটনায় মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে স্নেহাশিস-সায়নী