ভাঙড়, 2 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে ফের উত্তাপ। প্রার্থীর উপর হামলা চলল সেই ভাঙড়ে। এবার তৃণমূল প্রার্থীকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল। শনিবার সন্ধ্যায় নতুন করে উত্তপ্ত হয় ভাঙড়। দফায়-দফায় সংঘর্ষ চলে তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। অভিযোগ, তখনই তৃণমূল প্রার্থীকে নিশানা করে হামলা চালায় আইএসএফ কর্মীরা। ভাঙড়ে চলছিল তৃণমূল প্রার্থী ওহিদুল মোল্লার প্রচার। ভাঙড়ের চালতা বেড়িয়া অঞ্চলের বামুনিয়ার তৃণমূল প্রার্থী ওহিদুল। সঙ্গে ছিলেন ইব্রাহিম মোল্লা নামে এক দলীয় কর্মী।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দশটা নাগাদ প্রচার শেষে বাইক চালিয়ে দক্ষিণ বামুনিয়ায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন ওহিদুল ও ইব্রাহিম। তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁদের ধাওয়া করা হয় বলে অভিযোগ। বামুনিয়ার কর্মতীর্থ বাজারের কাছে হাঁসুয়া নিয়ে হামলা চালানো হয় তাঁদের উপর। দু'জনের অভিযোগ পিছন দিক থেকে তাঁদের উপর হাঁসুয়ার কোপ পড়ে। ওহিদুল জানাচ্ছেন, হামলার পরই বাইক থেকে পড়ে যান ইব্রাহিম ও ওহিদুল মোল্লা। আহত অবস্থায় চিত্কার করলে স্থানীয়দের জমায়েত হয় ঘটনাস্থলে। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। গুরুতর অবস্থায় জিরানগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে দুজনকেই নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ বাহিনী চালতা বেড়িয়া এলাকায় যায়। হাসাপাতলের বাইরে ভাঙড় তৃণমূল নেতৃত্বের জড়ো হয়। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওহিদুল মোল্লা বলেন, “ওরা চার-পাঁচ জন ছিল। সকলের মুখ ঢাকা ছিল। আমার প্রাণ চলে যেত। আইএসএফের গুন্ডা ছাড়া এই কাজ কারও হতে পারে না।”
ওহিদুল মোল্লার সরাসরি অভিযোগ হামলার নেপথ্যে আইএসএফ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাতে বাকি আর কয়েকটা দিন, তার আগে উত্তাপ যেন কমছে না ভাঙড়ে। হামলা, খুন থেকে লড়াই চলছেই। বার বার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকা। পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে হামলা? উঠছে সেই প্রশ্নই। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিশ। তবে, 8 জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে ফের উত্তাপ চিন্তা বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সফরকালে উত্তপ্ত গিতালদহ ! বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম 6