ঝড়খালি, 16 অগস্ট: সুন্দরবনে বাঘেদের জন্য তৈরি হতে চলেছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই হাসপাতালটি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথোরিটি'র তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটি তৈরির কাজ হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই হাসপাতালটি তৈরি হলেও এখানে যাতে সব রকমের পশুকে চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের মূল ভবনটি তৈরি করা হলেও এখনও সেখানে বহু প্রযুক্তির সংযোজন বাকি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাঘ-সহ বিভিন্ন পশুপাখির চিকিত্সার জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম রাখা হবে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পশু-পাখিদের অস্ত্রোপচারের জন্য তৈরি হবে পৃথক অপারেশন থিয়েটার। 'টাইগার রেফারেল সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল' নাম দেওয়া হয়েছে এই অত্যাধুনিক চিকিত্সাকেন্দ্রের। বন দফতর সূত্রে খবর, হাসপাতাল চালু করার জন্য চিকিত্সার যে সব সরঞ্জাম প্রয়োজন হবে, তার তালিকা সরকারের কাছে আগেই পাঠানো হয়েছে।
সেই তালিকায় রয়েছে এক্স-রে, ইসিজি, ইউএসজির মেশিন, অপারেশন থিয়েটারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি-সহ আরও অত্যাধুনিক চিকিত্সায় ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির জিনিস। 2023 সালের শেষের দিকে এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সুন্দরবনের বাঘ, কুমির ছাড়াও যাতে অন্য বন্য প্রাণীদের চিকিত্সা করা যায়, সেই ভাবনা মাথায় রেখেই এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে আগত জীবজন্তুদের এখানে চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার জন্য যাতে ভরতি করানো যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ন: গজরাজের তাণ্ডবে পরপর মৃ্ত্যু! দুষ্ট হাতিদের বাগে আনতে সংশোধনাগার তৈরি করছে বন দফতর
বর্তমানে সুন্দরবনের এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে 3টি বাঘ ও 11টি কুমির রয়েছে। তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা এখানেই রয়েছে। অত্যাধুনিক চিকিত্সার জন্য এই হাসপাতালে একটি বিশেষ ধরনের 'হাইড্রোলিক টেবিল' আনার পরিকল্পনা রয়েছে। টেবিলটি সহজে ওঠানামা করবে। যাতে যে কোনও আয়তনের প্রাণীকে সেখানে শুইয়ে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিত্সা দেওয়া যায়। বাইরে থেকে চিকিত্সার জন্য প্রাণীদের এই হাসপাতালে আনার জন্য একটি বিশেষ ধরনের অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, এই হাসপাতালের জন্য 4 জন চিকিত্সক এবং 1 জন অস্ত্রোপচারের চিকিত্সক থাকবেন। প্যাথোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট-সহ অন্যান্য জরুরি পদেও নিয়োগ হবে সময়ের ব্যবধানে।