ক্যানিং, 19 মে : জেলে বসেই বিধায়ককে হত্যার পরিকল্পনা ! আর সেই ছক ফাঁস হতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস (Canning Paschim MLA Assassination Planning) । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ ।
বেশ কয়েক মাস আগে দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় মাতলা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি কমল মল্লিককে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয় । এই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেল খেটেছে তিন যুবক । অভিযোগ, এই তিন যুবকই বিধায়ককে খুনের ছক কষেছে ৷ কারণ, কমল মল্লিক নামে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে গাড়িচাপা দিয়ে পালানোর সময় বিধায়কের লোকজনই ওই যুবকদের ধরে ফেলেছিলেন । আর তাতেই ওই তিন অভিযুক্তের রাগ গিয়ে পড়েছে বিধায়ক পরেশরাম দাসের উপর ৷
জানা গিয়েছে, এই অভিযুক্তরা আপাতত জামিনে মুক্ত । জেলের বাইরে আছে । তারা সকলেই ক্যানিংয়ের বাসিন্দা । কিন্তু জামিনে মুক্ত হলেও তারা কেউ ক্যানিংয়ে ফেরেনি । তারা বর্তমানে ওড়িশাতে আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । আর সেখান থেকেই বিধায়ককে হত্যার ছক কষছে ওই তিন যুবক । পুলিশ সূত্রে খবর, জেলে থাকাকালীন অন্য কয়েকজন দাগী অপরাধীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ওই তিনজন । যার মধ্যে ক্যানিংয়ের এক আসামিও ছিল ।
আরও পড়ুন : সময়ের আগেই সিবিআই দফতরে হাজির অনুব্রত
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ওই ব্যক্তিই বিষয়টি ক্যানিংয়ের বিধায়ক পরেশরাম দাসকে জানায় । তার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি । এই বিষয়ে বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, "বিষয়টি জানার পর আমি বারুইপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে জানিয়েছি । ক্যানিং থানাতেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে । যে সমস্ত দুষ্কৃতীরা মাতলা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি কমল মল্লিককে গাড়িচাপা দিয়ে খুন করেছিল তারা এবার আমাকে খুন করার পরিকল্পনা করছে । টাকা পয়সা দিয়ে আরও কয়েকজন অপরাধীকে এই কাজে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে ।" বিধায়কের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ ।
