রায়দিঘি, 11 মার্চ: ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার স্কুলে আসেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও শিক্ষক। শনিবার স্কুলে এলে এই দুই শিক্ষককে ভেতরে ঢুকতে না-দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনা রায়দিঘি বিধানসভার অন্তর্গত টাঙ্গিপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বৃহস্পতিবার বকেয়া ডিএ (DA) দেওয়ার দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘটের ডাক দেন (Teacher Harassed by TMC) ৷ সেই মতো ধর্মঘটে সামিল হন তাঁরা। ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে টাঙ্গিপাড়ার দুই শিক্ষক স্কুলে আসেননি । কিন্তু শনিবার স্কুলে এলে দুই শিক্ষক স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বাইরে বসিয়ে রাখে বলে অভিযোগ ৷
স্কুলে তালা মেরে এই শিক্ষককে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, আগাম কোনও ছুটির আবেদন না-জানিয়ে দুই শিক্ষক স্কুলে আসেননি ৷ এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে অনেকটাই অসুবিধা হয়েছে। অভিভাবকরা ক্ষোভে ফুঁসছেন ৷ সেই জন্য আজ এই দুই শিক্ষক স্কুলে এলে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। যদিও এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বুথ সম্মেলনে চটুল নাচ ! ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক তুফানগঞ্জে
পুলিশি তৎপরতায় অবশেষে স্কুলে ঢুকতে সক্ষম হন দুই শিক্ষক। তারপর তাঁরা ক্লাসও নেন । স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, "গতকাল বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ধর্মঘটে সামিল হওয়ার কারণে আমরা আসিনি ৷ আজ যখন যথারীতি অন্যান্য দিনের মতো আমরা স্কুলে আসি তখনই স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় কয়েকজন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের দাবি, গতকাল স্কুলে আসেননি কেন ? গতকাল স্কুলে আসেননি যখন স্কুলে আপনাদের আসতে হবে না। বেশ কিছুক্ষণ স্কুলের গেটে তালা মেরে বাইরে বসিয়ে রাখে আমাদেরকে ৷ পরবর্তীকালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।"
এই ঘটনার সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে ৷ এই বিষয়ে সিপিএম নেতা দেবাশিস ঘোষ বলেন, "অশিক্ষিতদের পার্টি তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এরা সংবিধান জানে না, শিক্ষা জানে না ৷ সংবিধান সাধারণ মানুষকে অধিকার দিয়েছে আন্দোলন করার জন্য। এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।