কাকদ্বীপ, 24 জুলাই: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে শৌচালয়ের মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক পার্শ্ব শিক্ষক । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার ঢোলাহাটে । ধৃতকে সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ৷ অভিযুক্তের নামে পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী সব্যসাচী দাস ৷ অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কাকদ্বীপ হাসপাতালে ইতিমধ্যেই নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে বলে খবর ।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটে গত 21 জুলাই । নির্যাতিতার পরিবার জানায়, স্কুলের শৌচালয়ে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী । অভিযোগ, তাকে সেখানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এক পার্শ্ব শিক্ষক । শুধু তাই নয়, এরপর ওই ছাত্রীকে শৌচালয়ের ভেতরেই আটকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান অভিযুক্ত শিক্ষক ৷ এমনটাই দাবি মেয়েটির পরিবারের । এমনকী এই ঘটনা নিয়ে বাইরে মুখ না-খোলার জন্য নির্যাতিতাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ।
নির্যাতিতার পরিবারের আরও দাবি, দীর্ঘক্ষণ ছাত্রীকে ক্লাসে দেখতে না-পেয়ে খোঁজ শুরু হয়। সে সময় শৌচালয়ের দরজার বাইরে তালা ঝোলানো অবস্থায় দেখে অন্যান্য পড়ুয়াদের তখনই তাদের সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি তারা খবর দেয় শিক্ষকদের ৷ এরপরই শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সাহায্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় । ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে সমস্ত কথা জানায় বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, দেহ মিলল খালে
এরপর প্রথমে প্রধান শিক্ষকের কাছে নাবালিকার পরিবার অভিযোগ করে । কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূলের তরফে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ যাতে তারা থানায় গিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের না-করেন। ওই নাবালিকা ছাত্রীর মায়ের কথায়, "আমার মেয়ে শৌচালয়ে গিয়েছিল । তখন ওই শিক্ষক শৌচালয়ের মধ্যে ঢুকেই তাকে ধর্ষণ করে। স্কুলের আমার মেয়ের এক বান্ধবী বাড়িতে এসে খবর দেয় ৷ সে জানায় মেয়েকে তালাবন্ধ করে রেখেছে । আমি স্কুলে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি কেন তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে । তখন বাকি শিক্ষকরা বিষয়টা জানতে পারেন।" নাবালিকার পরিবারের দাবি, প্রথমে ভয় পেলেও রবিবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে তারা। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।