ETV Bharat / state

ভোট দিতে ঘরে ফিরছেন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা, ক্ষতির শঙ্কা চর্মশিল্পে - Bhangor

ভোট দিতে ঘরে ফিরছেন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। ক্ষতির আশঙ্কা চর্মশিল্পে।

author img

By

Published : Apr 17, 2019, 2:49 PM IST

ভাঙড়, 17 এপ্রিল : লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে বাড়ি যাচ্ছেন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। ফলে বানতলা শিল্পনগরীতে কমছে শ্রমিকের সংখ্যা। কমছে চর্মজাত দ্রব্যের উৎপাদন।

ইতিমধ্যেই বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন। নিজেদের শিডিউলড ডিউটি শেষ করে ভাঙড়, মিনাখা, জীবনতলার বাসিন্দারা এখন নিজেদের এলাকায় যাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রচারে যোগ দিতে। আবার কেন্দ্রে সরকার পরিবর্তন হবে, নাকি নতুন সরকার আসবে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন ট্যানারির মালিকরা। শ্রমিক না থাকার জেরে ব্যাহত হচ্ছে চর্মজাত দ্রব্যের উৎপাদনও। ফলে ভোট বাজারে মুনাফাও কমছে ব্যবসায়ীদের।

বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া ভাঙড়-1 ব্লকের তাড়দহ অঞ্চলে 400 টি ছোটো-বড় কারখানা নিয়ে বানতলা চর্মনগরী শুরু হলেও এখন তার সংখ্যা 500-র বেশি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক লাখ বিশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয় বানতলা চর্মনগরীতে। ফলে বানতলার শ্রমিক ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের ঝুলিতে পুরতে সবসময় সচেষ্ট হয় রাজনৈতিক দলগুলি। শিল্পনগরীর দায়িত্বে থাকা শ্রমিক নেতা রাকেশ রায় চৌধুরি বলেন, "জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে আমরা শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছি। প্রার্থী নিজেও চর্মনগরীতে প্রচারে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের যেসব শ্রমিক বানতলায় কাজ করেন তাঁরা এখন ঘরে ফিরছেন ভোট দিতে।"

ভাঙড়, 17 এপ্রিল : লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে বাড়ি যাচ্ছেন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। ফলে বানতলা শিল্পনগরীতে কমছে শ্রমিকের সংখ্যা। কমছে চর্মজাত দ্রব্যের উৎপাদন।

ইতিমধ্যেই বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন। নিজেদের শিডিউলড ডিউটি শেষ করে ভাঙড়, মিনাখা, জীবনতলার বাসিন্দারা এখন নিজেদের এলাকায় যাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রচারে যোগ দিতে। আবার কেন্দ্রে সরকার পরিবর্তন হবে, নাকি নতুন সরকার আসবে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন ট্যানারির মালিকরা। শ্রমিক না থাকার জেরে ব্যাহত হচ্ছে চর্মজাত দ্রব্যের উৎপাদনও। ফলে ভোট বাজারে মুনাফাও কমছে ব্যবসায়ীদের।

বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া ভাঙড়-1 ব্লকের তাড়দহ অঞ্চলে 400 টি ছোটো-বড় কারখানা নিয়ে বানতলা চর্মনগরী শুরু হলেও এখন তার সংখ্যা 500-র বেশি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক লাখ বিশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয় বানতলা চর্মনগরীতে। ফলে বানতলার শ্রমিক ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের ঝুলিতে পুরতে সবসময় সচেষ্ট হয় রাজনৈতিক দলগুলি। শিল্পনগরীর দায়িত্বে থাকা শ্রমিক নেতা রাকেশ রায় চৌধুরি বলেন, "জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে আমরা শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছি। প্রার্থী নিজেও চর্মনগরীতে প্রচারে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের যেসব শ্রমিক বানতলায় কাজ করেন তাঁরা এখন ঘরে ফিরছেন ভোট দিতে।"

Intro:ভোটের মুখে ক্ষতির আশঙ্কা চর্ম শিল্পে। ভোট উৎসবে শামিল হতে ঘরে ফিরছে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। প্রতিনিয়ত কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার চর্ম নগরীতে এখন একটাই ছবি চোখে পড়ছে। শ্রমিকরা একে একে বাড়ি ফিরছে। রাস্তাঘাট ধীরে ধীরে শুনশান হয়ে যাচ্ছে।Body: চর্মনগরী বানতলাতেও লেগেছে ভোটের আঁচ। ভোট দিতে একে একে বাড়ি ফিরছে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা।ইতিমধ্যেই বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন দলে দলে। এ রাজ্যের শ্রমিক, কর্মচারীদের অনেকেই এখন ছুটির মেজাজে। চটপট ‘শিডিউল ডিউটি’ শেষ করে ভাঙড়, মিনাখা, জীবনতলার বাসিন্দারা নিজেদের এলাকায় দৌড়াচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রচারে যোগ দিতে। আবার কেন্দ্রে সরকার পরিবর্তন হবে নাকি নতুন সরকার আসবে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন ট্যানারির মালিকরা। সবমিলিয়ে লোকসভা ভোটের গনগনের আঁচের কিছুটা তাপ মিলছে বানতলা শিল্প নগরীতে। যার জেরে ব্যহত হচ্ছে চর্মজাত দ্রব্যের উৎপাদন। ফলে ভোট বাজারে মুনাফাও কমছে ব্যবসায়ীদের।

বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া ভাঙড় ১ ব্লকের তাড়দহ অঞ্চলে ১১০০ একর জমির ওপর ২০০৫ সালে বানতলা চর্মনগরীর পথ চলা শুরু হয়। শুরুর দিকে ৪০০ টি ছোট বড় চামড়া কারখানা থাকলেও এখন তা ৫০০ গন্ডি ছাড়িয়েছে। এছাড়া ছোট বড় আরও ২০০ টি কারখানা ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। সবমিলিয়ে এই মূহুর্তে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এক লক্ষ বিশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয় বানতলা থেকে।যার সিংহ ভাগই আসেপাশের ২ চব্বিশ পরগণার বাসিন্দা। ফলে বানতলার শ্রমিক ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের ঝুলিতে পুরতে সবসময় সচেষ্ট হন রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও এই মূহুর্তে বানতলার মেন গেটের বাইরে বিভিন্ন দলের পোষ্টার ব্যনার থাকলেও শিল্প নগরীর ভিতর সে সবের দেখা নেই। তবে মিটিং মিছিল যে একেবারে নেই তা নয়। শিল্পনগরীর দায়িত্বে থাকা শ্রমিক নেতা রাকেশ রায় চৌধুরী বলেন, ‘জয়নগরের তৃনমূল প্রার্থী প্রতিমা মন্ডলের সমর্থনে আমরা শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে প্রচার চালচ্ছি। প্রার্থী নিজেও চর্মনগরিতে প্রচারে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি। বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদেশের যে সব শ্রমিকরা বানতলায় কাজ করেন তাঁরাই এখন ঘরে ফিরছেন ভোট উৎসবে শরিক হতে।Conclusion:ভোট দিতে শ্রমিকরা বাড়ি ফেরায় আবার ক্ষতির মুখ দেখছে স্থানীয় ভ্যান রিক্সা চালকরা। তাদের রিক্সা চেপেই শ্রমিকরা চর্ম নগরীতে কাজে আসতো। এখন শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় প্রচুর ক্ষতির আশঙ্কা করছে তারা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.