ডায়মন্ড হারবার (দক্ষিণ 24 পরগনা), 3 ডিসেম্বর: দিন কয়েক আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল ৷ এই নিয়ে সেদিন তো বটেই, তার পরও বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচনা কম হয়নি ৷ শনিবার দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) সেই বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু ৷ স্পষ্ট করলেন কী উদ্দেশ্যে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ডেকেছিলেন ৷
বিরোধী দলনেতার কথায়, মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বোঝাপড়ার জন্য ডেকেছিলেন ৷ কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সেই উদ্দেশ্য আগেই ধরতে পেরেছিলেন ৷ তাই তিনজন বিধায়ককে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৷
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে বেশ কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন (West Bengal Assembly Winter Session) চলে ৷ প্রতিদিনই কোনও না কোনও ইস্যুতে হই হট্টগোল হয়েছে ৷ বিরোধী বিজেপি (BJP) ওয়াকআউট করেছে ৷ কিন্তু গত 25 নভেম্বর সংবিধান দিবস নিয়ে অনুষ্ঠান ঘিরে সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখা গিয়েছিল বিধানসভায় ৷
সেদিন বিরোধী দলনেতা ও বিরোধী বেশ কয়েকজন বিধায়ককে সুষ্ঠুভাবে বলতে দেওয়া হয় ৷ তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিধায়ক টিপ্পনি কাটলেও সেদিন তাঁদের থামিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ৷ অধিবেশনের বিরতিতে মার্শালকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে ডেকে পাঠান শুভেন্দুকে ৷ কিন্তু দলের তিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছান শুভেন্দু ৷
যা নিয়ে সেদিন শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ৷ কারণ, বিধানসভা নির্বাচনের পর এই দুই নেতার মধ্যে কখনোই সৌজন্য সাক্ষাৎ দেখা যায়নি ৷ বরং দু’জনেই দু’জনকে আক্রমণ করেছেন ৷ তাই ওই বৈঠকে কী আলোচনা হল, তা জানতে উৎসুক ছিলেন সবাই ৷
সেদিন বৈঠক থেকে বের হওয়ার পরই আলোচ্য বিষয় নিয়ে মুখ খোলননি শুভেন্দু ৷ এমনকী, এদিনও তা বলেননি ৷ বরং তিনি জানিয়েছেন সেদিন তাঁকে ডেকে পাঠানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ৷
আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম শুভেন্দু, আতঙ্কের নাম 1956, তৃণমূলকে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার