ক্যানিং, 16 এপ্রিল : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াখালি গ্রামে হাজার হাজার মানুষজন মেতে উঠলেন বৈশাখের চড়কে । দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-2 ব্লকের তাম্বুলদহ অঞ্চলের মৌখালি এলাকায় হয় এই চড়ক মেলা ৷ আর এই চড়কে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষজন সামিল হয় ।
সুন্দরবনের করতোয়া নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে মৌখালির এই নোয়াখালি গ্রাম । পূর্ব পাকিস্তান থেকে বহু হিন্দুরা এই তাম্বুলদহ অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে । ফলে গড়ে ওঠে করতোয়া নদীর পাড়ে এক নতুন সভ্যতা । সোদা মাটির নোনা জলের গন্ধে গড়ে উঠতে থাকে এক ফসলি জমিকে বহু ফসলি জমি করে তোলা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে । আর এই প্রত্যন্ত গ্রামে শুরু হয় বৈশাখের চড়ক । প্রতিবছর পয়লা বৈশাখের সন্ধ্যায় এই চড়ক শুরু হয় এবং পরের দিন সন্ধ্যায় এই চড়ক শেষ হয় । আর এই বৈশাখের চড়কের বিশেষ বৈশিষ্ট্য বর্শি গাঁথা । সম্পূর্ণ শাস্ত্রীয় মতে এই চড়ক পুজো হয়ে থাকে ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জহরলাল দাস জানিয়েছেন, তাঁদের এই চড়ক মেলার বয়স 67 বছর ৷ আর বর্শি গাঁথা ছাড়াও এখানকার আরও এক বৈশিষ্ট্য হল এখানে চড়ক পালিত হয় পয়লা বৈশাখ ৷ শুধু যে হিন্দুরাই এই চড়কে অংশগ্রহণ করে তাই নয়, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ সব ধর্মের মানুষরাই এই মেলায় যোগদান করেন ৷ এখানকার বৈশাখের চড়কে মেতে ওঠে হাজার হাজার মানুষজন । চড়কের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় সুন্দরবনের কৃষ্টি সাংস্কৃতিক ।
আরও পড়ূন : মোদিকে কুরুচিকর আক্রমণ তৃণমূল প্রার্থীর, পাল্টা তোপ বিজেপির