রায়দিঘি, 7 নভেম্বর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশিক্ষিত লোকেদের বাংলার রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন, এটাই তাঁর অবদান ৷ মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ এদিন দক্ষিণ 24 পরগনার রায়দিঘি বাজার এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুকান্ত মজুমদার ৷ সেখানেই তিনি একাধিক র্নীতি ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন ৷
এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন,"কাজের সময় কাজী আর কাজ ফুরালেই পাজি, মুখ্যমন্ত্রী এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেন ৷" তাঁর কথায়,"জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলছেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবটাই জানেন ৷ তাহলে কেন তাদেরকে জেরা করা হচ্ছে না। অপরদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছে যে তিনি কিছু জানেন না, দশ বছর ধরে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চুরি করে যাচ্ছেন অথচ মুখ্যমন্ত্রী জানেন না এই কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না । অখিল গিরি যে ভাষায় কথা বলছেন তা বাংলার সংস্কৃতি নয় ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার রাজনীতিতে অবদান হল অশিক্ষিত লোকেদের বাংলার রাজনীতিতে আনা ৷ আগামী দিনে সাধারণ মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে ।"
এদিন সুকান্তর কটাক্ষ, একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন । নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যদের আগলে রাখতে এবং নির্দোষ প্রমাণ করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । কিন্তু যতই ভয় দেখান উনি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না । রাজ্য সরকারের যে পাহাড় সমান দুর্নীতি সেই দুর্নীতির মুখোশ এবার সাধারণ মানুষের সামনে খুলে গিয়েছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করছেন ।
আরও পড়ুন: 'প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে ফলক, উনি ভণ্ড বিজেপি সাজেন', বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অনুপম
মঙ্গলবার বোলপুরে তৃণমূলের মঞ্চে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার উপস্থিতি নিয়ে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন,"অনুপম হাজরা রাষ্ট্রীয় নেতা এই বিষয়ে দলের রাষ্ট্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন ৷ কিন্তু উনি এর আগেও অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন, পুরনো অভ্যাসটা রয়ে গিয়েছে। তবে অনুপম হাজরার এহেন আচরণে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না ৷"