কাকদ্বীপ, 5 অগস্ট : কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক প্রতারণা। কয়েক মাস আগে কাকদ্বীপের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনিল কুমার রায়ের পারিবারিক ফোটো ব্যবহার করে, তার নামে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
ফেসবুকের বন্ধুদের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। অনেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণও করেন। তারপর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার জন্য অনুদান চেয়ে আবেদন করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহার করা হয় জালিয়াতের ফোন পে অথবা গুগল পে-এর নম্বর।
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রায় 25000 থেকে 30000 টাকা অনুদান পাঠানোও হয় বলে জানা গিয়েছে । কয়েকজন বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারে আধিকারিক যে তার নাম ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে চিকিৎসার নাম করে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তখন তিনি তাঁর আসল ফেসবুকের মাধ্যমে পোস্ট করে প্রতারকের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ওই রাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনিলবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে সুন্দরবন জেলা পুলিশ।
পুলিশ তদন্তে নেমে, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাইসেন জেলার পাপডা গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ গুরজার নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন । যে ফোনটি ব্যবহার করে এই ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন : Kakdwip Hospital : কাকদ্বীপ হাসপাতালে কোভিড রিপোর্ট নিতে লাইন কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিকের
সুন্দরবন সাইবার ক্রাইম থানার পি এস আই রিধি সরকারের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হয়। উক্ত অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তার ওই মোবাইল ফোনটিও সিমকার্ড সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আসামীকে কাকদ্বীপ আদালতে হাজির করানো হয় ও মহামান্য আদালতের নির্দেশে তাকে 10 দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয় বিচারক।
জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত তদন্ত শুরু করে সুন্দরবন জেলা পুলিশ। অপরাধের দ্রুত কিনারা করে অপরাধীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।