ক্যানিং, 20 জুলাই : স্কুলে জাতীয় সংগীত হচ্ছিল ৷ অভিযোগ, সেই সময় ধর্মীয় স্লোগান দেয় কয়েকজন ছাত্র ৷ তার প্রতিবাদ করায় ক্লাস নাইনের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল চার-পাঁচজন ছাত্রের বিরুদ্ধে ৷ তার নাক ফেটে যায়, বুকেও আঘাত লাগে ৷ বর্তমানে সে ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । পুলিশের দ্বারস্থ হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ক্যানিংয়ের তালদি মোহনচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ।
বৃহস্পতিবার স্কুলে প্রার্থনার সময় জাতীয় সংগীত হচ্ছিল ৷ জখম ছাত্র অরূপ হালদারের অভিযোগ, সেই সময় ক্লাস টুয়েলভের কয়েকজন ছাত্র ধর্মীয় স্লোগান দেয় ৷ প্রতিবাদ করায় সফিকুল ও আসাদুল গাজির নেতৃত্বে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ তার কথায়, "কেউ হাত দিয়ে মারছিল, কেউ ঘুষি মারছিল ৷ যে যার মতো মেরে যাচ্ছিল ৷ আমার নাকে মেরেছিল ৷ আমি বুঝতে পারিনি কী দিয়ে মেরেছিল ৷" ঘটনার দিন প্রধান শিক্ষক না আসায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়নি ৷ ক্যানিং থানার দ্বারস্থ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ অরূপের ৷ তার বক্তব্য, "ওই ছেলেটাকে (অভিযুক্ত) ছেড়ে দিল ৷ বলছে, ছেলেটার এখনও 18 বছর হয়নি ৷ তাই ওকে জেলে রাখতে পারব না ৷" যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন দুই ছাত্রের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। ধর্মীয় কোনও বিষয় নিয়ে মারপিট হয়নি।
অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অরূপের মা ৷ তাঁর কথায়, "এটা যদি তাঁদের সন্তানের সঙ্গে হত, তাহলে কি ছেড়ে দিতেন? তাও আমি তাঁদের বাচ্চাদের অনেকটা ছেড়ে দিয়েছি ৷ তাদের বাড়ি পাঠিয়েছি ৷ তাদের (অভিযুক্তদের) আমি শাস্তি চাই ৷"
গত বছর নভেম্বরেও এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল অন্য সম্প্রদায়ের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয় ৷