উস্তি, 18 মে : তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা । গরমের হাঁসফাঁস থেকে রেহাই মিলতে হাতপাখার জুড়ি মেলা ভার। এই গরমেও ব্যস্ততা তুঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনার উস্তি থানার দেউলা গ্রামের শেখপাড়ায় । রাতদিন এক করে হাতপাখা তৈরি করছেন এলাকার মানুষ । তবে আগের থেকে চাহিদা কমায় অনেক পরিবার এই কুটির শিল্প থেকে সরে আসছেন (Handmade palmleaf fan artisans seek wb government support)৷
শেখ পাড়ারই বাসিন্দা হামিদুল শেখ ৷ সেই ছোট্ট বয়সেই হাতপাখা তৈরিতে হাত পাকিয়েছিলেন ৷ তারপর থেকে তালপাতার পাখা তৈরি করেই জীবনধারণ করছেন । এক সময় বাবা-ঠাকুরদার হাত ধরে তিনিও পাখা তৈরি শুরু করেছিলেন । এখন তাঁর হাত ধরে এই কাজে এসেছেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরাও । কিন্তু আধুনিকযুগে এসি, এয়ারকুলারের ব্যবহার বৃদ্ধির জেরে হাতপাখার ব্য়বহার অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷
এছাড়াও বাজারে প্লাস্টিকের পাখা এসে গিয়েছে ৷ যা অনেকটাই সস্তা ৷ মাত্র 10 টাকাতেই প্লাস্টিকের পাখা পাওয়া যাচ্ছে ৷ পাশাপাশি তালপাতার তৈরি হাতপাখার থেকে বেশি টেকসই ৷ তাই প্লাস্টিকের পাখার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে ৷ অথচ বাজারে একেকটি তালপাতার তৈরি হাতপাখা 25 থেকে 30 টাকায় বিকোচ্ছে ৷ যা তালপাতার তৈরি হাতপাখার চাহিদা কমার অন্যতম একটি কারণ ৷ উত্তরোত্তর চাহিদা কমায় শিল্পীরাও এই পাখা তৈরির কাজ থেকে সরে আসছেন ৷ অনেক শিল্পী অন্য কাজের দিকে ঝুঁকেছেন ৷ তার উপর সরকারি সাহায্য না থাকাও কুটির শিল্পীরা শিল্পবিমুখ হয়ে পড়েছেন ৷