নামখানা, 3 ডিসেম্বর : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad Alert) মোকাবিলায় প্রস্তুত দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন ৷ নামখানা, সাগর, ডায়মন্ডহারবার-সহ জেলার উপকূলবর্তী সমস্ত এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে ৷ মৎস্যজীবীরাও সকলেই ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছেন ৷ আগামী কয়েকদিন তাঁরা যাতে আর সমুদ্রে না যান, সেই বিষয়েও প্রচার কর্মসূচি চলছে ৷ ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৷ যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা ৷ বাসিন্দাদের অনেককেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Cyclone Jawad alert at Digha: ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদের' জন্য সতর্কবার্তা জারি দিঘায়
নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকার ত্রাণশিবির এবং স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে ৷ কোভিডবিধি মেনেই সেখানে মানুষের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ শুকনো খাবার, বেবি ফুড থেকে গবাদি পশুর খোরাক, মজুত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু ৷ প্রত্য়েকটি ত্রাণ শিবিরকে স্যানিটাইজড করা হয়েছে ৷ এলাকাবাসী যাতে সময় থাকতেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান, তার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের বোঝানো হচ্ছে ৷
এদিকে, প্রশাসন প্রস্তুত থাকলেও জাওয়াদের আগমন বার্তা ঘুম কেড়েছে এলাকাবাসীর ৷ বাসিন্দাদের বক্তব্য, এর আগে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের ৷ জাওয়াদের ফলেও নতুন করে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা ৷ প্রাণ বাঁচাতে আগেভাগেই ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে গিয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ৷
আরও পড়ুন : West Bengal Weather Update : রাজ্যে ফের ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানি, শনি থেকে সোম পর্যন্ত প্রভাব ফেলবে জাওয়াদ
আশঙ্কার প্রহর গুণছেন কৃষকরাও ৷ কারণ, জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ রয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনাও ৷ এর ফলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষকরা ৷ তাই শুক্রবারের মধ্যেই অধিকাংশ কৃষক মাঠের ফসল কেটে ঘরে তুলে নিয়েছেন ৷ বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি সার্ভিস ৷ কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ডহারবারের খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম ৷