ভাঙড়, 9 ডিসেম্বর: প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় মোট 7 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (7 Arrested in Firing Issue at TMC Leader House in Bhangar)। মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্যাপ করে এবং ঘটনাস্থলের কাছের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখিয়ে শুক্রবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃতদের নাম সাবির মোল্লা, রশিদ আলি মোল্লা, আশিক মিস্ত্রি, রাকেশ মণ্ডল, মন্টু শেখ, আব্দুর রহমান, আসাদুর রহমান মোল্লা । এরা প্রত্যেকেই ভাঙড় থানা এলাকার বাসিন্দা । স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে একটি গোষ্ঠী তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামী এবং বাকিরা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির লোকজন ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে থাকেন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিম ৷ গত মঙ্গলবার রাতে ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় আনুমানিক দেড়টা নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা । প্রাণ বাঁচাতে খাটের নিচে আশ্রয় নেন ফজলে করিম । দরজা জানালার পাশাপাশি খাটের একাধিক জায়গাতে গুলির দাগ রয়েছে । খবর পেয়েই ভাঙড় থানার পুলিশ রাতেই ফজলে করিমের বাড়ি থেকে গুলির খোল উদ্ধার করে ।
আরও পড়ুন : ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে চলল 12 রাউন্ড গুলি, মিলল তাজা বোমা
তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি অভিযোগ করেছিলেন, ব্লক সভাপতি কাইজার আহমেদের নির্দেশেই এই হামলা । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন কাইজার । এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও পাওয়ার লোকেশন ট্যাপ করে 7 জনের নাম জানতে পারে পুলিশ । বৃহস্পতিবার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয় কাইজার-সহ ভাঙড়ের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির তৃণমূল নেতাকে । এরপর শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় 7 জনকে ।
এদিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ । এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত এখনও চলেছে । কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । পাশাপাশি আরও কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারুইপুরে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুই