নোদাখালি, 1 ডিসেম্বর : দক্ষিণ 24 পরগনার নোদাখালি থানার সোনাড়িয়া মোড়ের কাছে বিস্ফোরণের(Nodakhali Blast) তীব্রতার জেরে গুরুতর জখম হন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী দেবলীনা দাস। দেবলীনা দাস স্থানীয় এলাকায় আর্যপাড়া হাইস্কুলের ছাত্রী। আজ সকালে দক্ষিণ 24 পরগনার নোদাখালি থানার মোহনপুর হাটে সোনাড়িয়া মোড়ের কাছে একটি অবৈধ বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বাড়ির মালিক অসীম মণ্ডল সহ মামী কাকলী মিদ্যে ও এক শ্রমিক অতিথি হালদারের। এই ঘটনায় জখম বেশ কয়েকজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল আটটার সময় এই বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের বেশকিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়রা জানান, পরপর তিনবার বিস্ফোরণ ঘটে ৷ এই বিস্ফোরণে প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। আহত হন বেশ কয়েকজন ৷ আহতরা মুচিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিস্ফোরণের পর এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিম শেখ, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নবকুমার বেতাল।
আরও পড়ুন: নোদাখালিতে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত 3
গুরুতর জখম স্কুলছাত্রী দেবলীনা দাস বলেন, "আমি বাড়িতে রান্না করছিলাম ৷ হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা বাড়ি। বিস্ফোরণের এতটাই তীব্রতা ছিল যে আমাদের বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। কাচ ভেঙে আমার গায়ে মুখে ঢুকে যায়। ব্যথায় চিৎকার শুনে নিচে থেকে মা ছুটে আসেন। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা আমাকে মুচিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিল ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমি কিছুটা হলেও সুস্থ আছি। কীভাবে দিনের পর দিন বেআইনি বাজি তৈরি করা হত সেই বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায় করছি।" ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নোদাখালি থানার পুলিশ।