ভাঙড়, 28 অগাস্ট : হরেকরকম হেয়ারস্টাইল ! কারও চুল লাল । কারোর আবার বাদামী । কেউ করেছে গোলাপি রং । ছাঁটও বিভিন্ন রকমের । কেউ কেটেছে রোনাল্ডোর মত । কেউ বা আবার চুলের ছাঁট দিয়েছে শাহরুখ খানের মত । বাদ পড়েনি আমির খান কিংবা হার্দিক পান্ডিয়া । বড়দের ছাঁট দেখে উৎসাহিত হচ্ছে ছোটোরাও । চুলে বিভিন্নরকম ছাঁট দিয়ে স্কুল আসতে চাইছে তারাও । আর এর জেরেই বিড়ম্বনায় পড়ছেন শিক্ষকরা । তাঁদের বক্তব্য, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট বাড়ার ফলে পড়াশোনায় মন থাকছে না ছেলে-মেয়েদের । ভাঙড় 2 নম্বর ব্লকের হাতিশালা সরোজিনী মাদ্রাসার ঘটনা ।
হাতিশালা সরোজিনী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ইরফান আলি বিশ্বাস সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটির সভায় স্কুলের ছেলে-মেয়েদের বাহারি চুল নিয়ে সরব হন । তাঁকে সমর্থন করেন অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও । এরপরই ছেলে-মেয়েদের বাহারি চুল কাটা নিয়ে মনিটারিং করা শুরু করেন তাঁরা ।
ইরফান বলেন, "চুলের সমস্যা শুধুমাত্র আমার বিদ্যালয়েই নয়, আশপাশের অনেক বিদ্যালয়েই চলছে । আমরা ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক তৈরিতেই বিশ্বাস করি । তাই আমাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রদের মনিটারিং করছেন । এই মনিটারিং-এ সাড়া দিয়েছে অনেকেই । তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় । আমরা আশাবাদী দু-তিন জন ব্যতিক্রমী ছাত্র যারা আছে তারাও একদিন আমাদের কথা শুনবে । এই প্রবণতা ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ছাত্রদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে ।"
এর আগে হাটগাছা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের চুল কাটা নিয়ে এলাকার স্যালোঁতে নোটিশ জারি করেছিলেন । সেই ঘটনার পর আজ হাতিশালা সরোজিনী মাদ্রাসা স্কুলের ঘটনা সামনে আসে ।