ভাঙড়, 19 জুন: ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে নিহত হন শাসকদলের কর্মী রশিদ মোল্লা ৷ রবিবার তাঁর বাড়িতে গেলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ ৷ উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা থেকে শুরু করে আরাবুল ইসলাম-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সায়নী-সহ বাকিরা ৷ তাঁদের হাতে দলের তরফে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় ।
নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি জীবনতলার মৌখালী এলাকায় । ওই কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূলের যুবনেত্রী । সায়নীর বক্তব্য, ভোট আসবে ভোট যাবে ৷ কিন্তু এই রাজনৈতিক হিংসার কারণে প্রাণহানী কাম্য নয় । রাজনৈতিক হিংসা যাতে না আর ঘটে সেদিকেই বিশেষ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান । মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয় বলেই মনে করেন নেত্রী।
তিনি বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারে সেদিকেও আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি । কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর । শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস একা সেই ভূমিকা পালন করতে পারে না ৷ তাই বিরোধীরা সকলেই এগিয়ে আসুক এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে হয় সেদিকেই আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ হই ।"
আরও পড়ুন: মনোনয়নের শেষদিনেও রণক্ষেত্র ভাঙড়, গুলিতে মৃত 3
প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ে । অভিযোগ, এলাকায় মুড়ি- মুড়কির মতো বোমা পড়ে । মনোনয়নের শেষ দিন অর্থাৎ 15 জুন ফের অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড় ৷ শাসক বিরোধী সংঘর্ষে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা ও মেলার মাঠ । এলাকায় চলে গুলির লড়াই । আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিনজনের ।