ভাঙড়, 29 অক্টোবর : আব্বাস সিদ্দিকির সংগঠনের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ভাঙড়ের দুর্গাপুর এলাকার ঘটনা । প্রতিবাদে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীরা । বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর ও নলমুড়িতে রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলে চলে অবরোধ ।
আব্বাস অনুগামীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরের বাসিন্দা শফিকুল বৈদ্যকে বেধড়ক মারধর করা হয় । কয়েকদিন আগে আব্বাস সিদ্দিকির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি । সেই কারণেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ । মারধরের পাশাপাশি তাঁর সেলাই মেশিনের কারখানাতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
ঘটনায় শফিকুল বৈদ্য সহ কয়েকজন আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামী জখম হন । তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে । পরে ভাঙড় থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে । শফিকুল বৈদ্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । ঘটনার জানাজানি হতেই আব্বাস সিদ্দিকির সংগঠনের পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন তাঁর অনুগামীরা ।
আরও পড়ুন : আব্বাস সিদ্দিকির উপর হামলার অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর চার রাস্তার মোড় সহ নলমুড়ি রাস্তা অবরোধ করা হয় । দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে । অবরোধকারীদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল যুবর সভাপতি শওকত মোল্লার অনুগামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে । ভাঙড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামীরা । প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয় । অবরোধ উঠে যাওয়ার পর প্রায় তিরিশ মিনিট লেগে যায় যানচলাচল স্বাভাবিক হতে । ঘটনায় ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ ।