বাসন্তী, 11 এপ্রিল: হোগল নদীতে বড়সড় ধস নামল । চোখের নিমেষে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেল কয়েকশো মিটার এলাকা । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তী ব্লকে ৷ রবিবার থেকে বাসন্তীর দুর্গা মণ্ডপের কাছে কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে নদী বাঁধে ব্যাপক ধস নেমেছে । মঙ্গলবার তা বড় আকার নেয় ৷ বেশ কিছুটা অংশ ধসে তলিয়ে যায় নদীগর্ভে ৷ এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করছেন নদী ধীরে ধীরে লোকালয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । এর জেরে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন তারা ।
প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা । নদীর পাড় ধরেই গ্রামে যাওয়ার রাস্তা । গত কয়েক বছর আগে আমফান থেকে শুরু করে আয়লার মত বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নদী বাঁধের অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এলাকার সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করেন, হোগল নদীর এক পাড় ভাঙতে শুরু করেছে । বড় বড় চাঙড় একের পর এক ধসে পড়ছে নদীতে । এই ঘটনার জেরে স্থানীয়দের পাশাপাশি যথেষ্ট চিন্তিত প্রশাসনের আধিকারিকরাও । বাসন্তী ব্লকের দুর্গা মণ্ডপের কাছে যে নদীর পাড় রয়েছে । তার বেশ খানিকটা অংশ ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ।
নদীর পাশে বাড়ি এমন এক বাসিন্দা বলেন, "আজ সকাল থেকেই দেখছি নদীতে ধস নেমেছে ৷ হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায় । আমাদের ঘরের একধারে ফাটল দেখা গিয়েছে । জানি না, কিছুদিনের মধ্যে আমাদের ঘর হয়ত নদী গর্ভে চলে যাবে । খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি ।" আরেক বাসিন্দা ধীরেন দাস বলেন, "নদী বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে ৷ আমরা আতঙ্কে রয়েছি । ঘর-বাড়ি ভেসে চলে যাবে । কোথায় থাকব তখন আমরা । প্রশাসনকে তো জানানো হয়েছে । কী করবে জানি না ।"
তবে মাঝেমধ্যেই হোগল নদী বাঁধে ফাটল ধরে । বিস্তীর্ণ অঞ্চল নদী গর্ভে চলে যায় । জমি, জায়গা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে উঠতে হয় গ্রামবাসীদের । স্থানীয়দের অভিযোগ, আয়লা ও ইয়াসের পরবর্তী সময়ে কোনওরকমে নদী বাঁধ মেরামত হয়েছে । যে কারণে ভরা কোটালের সময় হামেশাই নদী বাঁধে ফাটল ধরে । পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটি ক্ষয়ে যাচ্ছে । এখানে নদীর কাছেই জনবসতি রয়েছে । এই ধসের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা ।
আরও পড়ুন: বেহাল নদীবাঁধ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আতঙ্কের প্রহর গুনছে গ্রামবাসী