সাগর, 28 মে : যশ পরবর্তী গঙ্গাসাগরে আকাশপথে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । "কোনও মানুষ যেন কোনওরকম অভিযোগ না করতে পারেন, সেভাবেই কাজ করতে হবে" শুক্রবার সাগরের বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বারবার তিনি এই বার্তাই দেন । কারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য, তা যথাযথভাবে খতিয়ে দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ।
গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের পাশেই তৈরি করা হয় অস্থায়ী হ্যাঙ্গার । মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছানোর পর সেখানেই প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক হয় । মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক পি উলগানাথন, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা-সহ সেচ, মৎস্য এবং কৃষি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা । এদিন বৈঠকের শুরুতেই নদীবাঁধগুলির প্রসঙ্গ তোলেন মমতা । বলেন, আরও শক্ত হাতে বাঁধগুলিকে ঠিক করতে হবে । কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরি বাঁধ বারবার ভেঙে যাচ্ছে, এবং তার জন্য সরকারের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে, সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি ৷
আগামী 19 জুন থেকে 30 জুন পর্যন্ত যশ-পরবর্তী ক্ষতিপূরণের আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে । খুঁটিনাটি দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে । আমফানের সময় ত্রাণবিলি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে । এবার কোনও ভাবেই যাতে এবার তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে কড়া নজর মুখ্যমন্ত্রীর । কোনওরকম বঞ্চনার অভিযোগ সহ্য করবেন না বলে কড়া বার্তা দেন মমতা ৷
আরও পড়ুন : শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বৈঠকে না, মোদির থেকে আলাদা সময় চাইলেন মমতা
সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । আপনি যেভাবে নির্দেশ দেবেন, আমরা সে ভাবেই কাজ করব ।” জেলা প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে । খাবার, জল, ত্রিপল যেন সকলে পান প্রশাসনকে সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলেন মমতা ।