ভাঙড়, 23 জুন: পারিবারিক বিবাদের জেরে চার বছরের শিশুকে গলা টিপে খুন করল জেঠিমা । তা চোখের সামনে দেখতে পেল বছর সাতেকের দাদা। চেঁচাতে গেলে তাকেও মেরে ফেলার হুমকি । ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার রঘুনাথপুর এলাকায় । ঘটনায় আটক জেঠু ও জেঠিমা । দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাশীপুর থানার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ভবসিন্ধু গায়েনরা চার ভাই। পারিবারিক কারণে দুই ভাই ও স্ত্রী-দের মধ্যে রাতদিন বিবাদ থাকলেও তাঁদের শিশু সন্তানের মধ্যে ব্যাপক মিল ছিল। বৃহস্পতিবার সকালেও ভাই-বোনেরা মিলে খেলা করছিল । কিন্তু হঠাৎই তাদের মধ্যে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ভবসিন্ধু ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণার চার বছরের মেয়ে রেখা। তারপর চলতে থাকে খোঁজাখুজি । পরে পুকুর থেকে ছোট শিশুর দেহ উদ্ধার হয়।
রাখির মা কৃষ্ণা গায়েনের অভিযোগ, "বাড়িতে একটা মনসা মন্দির তৈরি করছি আমরা। সেই কাজে বাধা দিয়েছিল মেজ জা। ওদের বাধা না মেনে কাজ করায় আমার মেয়েকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিল। ওই রাক্ষসীর ফাঁসি চাই।"
মৃতের বাবা ভবসিন্ধু বলেন, "আমি ডাব বিক্রি করে খাই । কারও সাতে পাঁচে থাকি না। আমার মেয়েকে খুন করে পাঁকে পুঁতে দিয়েছিল। রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কাশীপুর থানায় বসে থাকলেও পুলিশ কোনওরকম খুনের অভিযোগ নিতে চায়নি। উলটে অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য তোড়জোড় করেছে।"
পাশাপাশি এই ঘটনা দূর থেকে দেখতে পেয়েছে মৃত রাখির সাত বছরের দাদা । সে প্রথমদিকে ভয় পেয়ে কিছু না বললেও, পরবর্তী সময় জানায়, তার জেঠিমা কীভাবে বোনকে গলা টিপে খুন করে পুকুরে পুঁতে দিয়েছে । ঘটনা দেখে ফেলায় জেঠিমা তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ করে নাবালক । বর্তমানে সেও আতঙ্কে রয়েছে ।
আরও পড়ুন: শত্রুতার জের, পাঁচমাসের শিশুকে পিটিয়ে মারল দুষ্কৃতীরা, আহত 5
ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কীভাবে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত জেঠিমা বিশাখা গায়েন ও জেঠু জগবন্ধুর নামে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ দু'জনকে আটক করেছে ।