ভাঙড়, 1 এপ্রিল : ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ভাঙড় কলেজ মোড়, মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা । এই এক কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচ পাঁচটি বাড়ি । এলাকায় যা 'লাভ বাড়ি' নামে পরিচিত । কোনওটি চারতলা,কোনওটি তিনতলা, কোনওটি বা আবার দু'তলা । এই বাড়িগুলি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাসসের হোসেনের (Huge property of TMC leader in Bhangar)। শুধু প্রাসাদোপম একাধিক বাড়িই নয়, এলাকায় কয়েক বিঘা জমিও কেনা রয়েছে তাঁর ৷ যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজনীতিতে আসার আগে কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে কাটা তেলের ব্যবসা করতেন মোদাসসের হোসেন । অভিযোগ, কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল বিক্রি করতেন অবৈধ ভাবে । 2005 সালে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অহিদুল ইসলাম-আরাবুল ইসলামদের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতে খড়ি তাঁর । তারপর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে উথ্থান হয় মোদাসসেরের ৷ 2006 সালে আরাবুল ইসলাম ভাঙড় বিধানসভা থেকে জয় পেয়েছিলেন । সেই নির্বাচনে ভোগালি-2 গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মোদাসসের ।
আরও পড়ুন : রাতভর দুষ্কৃতীদের বোমাবাজিতে তপ্ত শাসন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ
2008 সালের পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়-2 গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেন তৃণমূল । এই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন মোদাসসের হোসেন । তারপর থেকে আর পিছন দিকে তাকাতে হয়নি এই তৃণমূল নেতাকে ৷ দিন যত এগিয়েছে এলাকায় বেড়েছে তাঁর প্রতিপত্তি, সম্পত্তি ৷ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, বেনামে এই বেআইনি সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন ওই নেতা ৷ এটাই তৃণমূলের নেতা হয়ে ওটার অন্যতম যোগ্যতা ৷ নইলে একজন পঞ্চায়েত সদস্য কীভাবে এই বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হলেন ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই তৃণমূল নেতা ৷ তাঁর দাবি, নির্দিষ্ট আয়ের উৎস রয়েছে তাঁর ৷ সেখান থেকেই তিনি এই সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন ৷