গঙ্গাসাগর, 14 জানুয়ারি: আবারও রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে চাঁছাছোলা ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন পুরী শংকরাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ৷ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, মূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মগ্রন্থগুলিতে যে নিয়ম আছে, তা মেনে চলতে হয় রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকেও ৷ কিন্তু নিজের নাম প্রচারের জন্য কেউ সেই নিয়ম না মানলে তা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ধ্বংসের পথে যাওয়া ৷ তাঁর মতে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনীতি করাটা কাঙ্ক্ষিত নয় ৷
22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা'-তে তিনি অংশ নেবেন না বলে শনিবার আবারও জানিয়ে দিলেন পুরীর শংকরাচার্য ৷ তার কারণ ব্যাখ্যা করে এ দিন তিনি আবারও তোপ দাগেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর মতে, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কখনই কাম্য নয়, এমনকি সংবিধানও এর অনুমতি দেয়নি ।
স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী বলেন, "সংবিধানে রাজনীতিবিদদের তাদের দায়িত্ব ও সীমাবন্ধতার কথা বলা রয়েছে ৷ ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ও বিধিনিষেধ রয়েছে এবং এই নিয়মগুলি অনুসরণ করা উচিত । রাজনীতিবিদদের প্রতিটি ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করাটা পাগলামি ৷"
গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যস্নান সারতে এসে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুরীর শংকরাচার্য ৷ তখনই তিনি রাম মন্দির উদ্বোধনের আয়োজন নিয়ে নিজের একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন ৷ তিনি বলেন যে, একজন শংকরাচার্য হিসাবে তিনি কোথায় যেতে পারেন, তিনি কীসে হস্তক্ষেপ করতে পারেন, কী খেতে পারেন, তারও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে । তাঁর কথায়, "মূর্তিপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে, ধর্মগ্রন্থগুলিতে নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে এবং রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রীকেও এই নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে । নিজের নাম প্রচার করার জন্য এই নিয়মগুলি না মানাটা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের একটি কাজ... এবং ধ্বংসের পথে যাওয়া ৷"
তবে অযোধ্যার প্রতি তাঁর কোনও অসন্তোষ নেই, এ কথা এ দিন স্পষ্ট করে দেন স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ৷ তিনি জানান যে, আগামী দিনেও তিনি অযোধ্যায় যাবেন ৷ তবে আগামী 22 জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন না ৷
আরও পড়ুন: