ETV Bharat / state

Padma Shri Pritikona Goswami: বাংলায় নকশিকাঁথার প্রসারে ‘পদ্মশ্রী‘ প্রীতিকণা, উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশীরা

‘নকশিকাঁথা’র কাজের জন্য ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন সোনারপুরের প্রীতিকণা গোস্বামী (Padma Shri Awardee Pritikona Goswami) ৷ দেশবিদেশে এই হস্তশিল্পের প্রসার ঘটেছে তাঁর হাত ধরে ৷ জাতীয় পুরস্কারের পর এবার পদ্মসম্মান পাচ্ছেন প্রীতিকণা দেবী ৷

author img

By

Published : Jan 27, 2023, 4:57 PM IST

Padma Shri Awardee Pritikona Goswami ETV BHARAT
Padma Shri Awardee Pritikona Goswami
নকশিকাঁথার প্রসারে ঘটিয়ে ‘পদ্মশ্রী‘ প্রীতিকণা

সোনারপুর, 27 জানুয়ারি: সারাজীবনের কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছেন রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন তিনি (Pritikona Goswami from Bengal Receives Padma Shri) ৷ তাঁর নকশিকাঁথা শিল্পের জন্য প্রীতিকণা গোস্বামীকে এই সম্মান দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ ইতিমধ্যেই, তিনি 2001 সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের হাত থেকে হস্তকারিগরী ক্ষেত্রে জাতীয় পুুরস্কার পেয়েছেন ‘নকশিকাঁথা’র কাজের জন্য ৷ এবার ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দিচ্ছে ৷

মাত্র 10 বছর বয়সে বাবাকে হারান প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ 5 বোনকে নিয়ে কোনও মতে সংসার টানতেন মা ৷ সেই সময় প্রীতিকণা গোস্বামীকে তাঁর জেঠু নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ মাধ্যমিক দেওয়ার পর বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন তিনি ৷ তার আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ শিখতেন ৷ মূলত বান্ধবী রমা দাসের থেকে সেলাইয়ের কাজের উৎসাহ পান ৷ সেই সূত্রেই পীতাম্বরি নামে এক সংস্থার হয়ে সেলাইয়ের কাজ করতেন ৷

1977 সালে পড়াশোনা চলাকালীন বিয়ে করেন ৷ সিটি কলেজে ভরতিও হয়েছিলেন ৷ তবে, সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি ৷ তবে, নকশিকাঁথার সেলাইয়ের কাজ থামাননি ৷ 1990 সালে পশ্চিমবঙ্গ ক্রাফ্ট কাউন্সিল থেকে নকশিকাঁথার সেলাইয়ের বরাত পান ৷ তাঁর সেলাইয়ের কাজে খুশি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ক্রাফ্ট কাউন্সিল একটি বিভাগ খোলেন ৷ যার নাম দেওয়া হয় ‘কমলাদেবী কাঁথা সেন্টার’ ৷ সেখানে তাঁকে সেলাই শেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ তিনি আজও সেই সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন ৷

2001 সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ উল্লেখ্য, তাঁর কাকা নিখিল ঘোষ সঙ্গীতে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন ৷ প্রীতিকণা গোস্বামী নকশীকাঁথার কাজ শেখাতে বিদেশেও গিয়েছেন ৷ প্রীতিকণা দেবীর এই সাফল্যে খুশি তাঁর শিক্ষার্থী থেকে প্রতিবেশীরা ৷ সুমতি সাহা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রীতিকণা কাকিমা খুবই ভালো মানুষ ৷ নকশিকাঁথার বুনোনে ওনার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে ৷ তাঁর এই স্বীকৃতিতে খুবই খুশি হয়েছি আমরা ৷ খবরটা শোনার পর থেকে খুব আনন্দ হচ্ছে ৷ চেষ্টা থাকলে যে বয়সটা কোনও ব্যাপার নয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷’’

আরও পড়ুন: 'সম্মানিত!' পদ্মশ্রী প্রাপ্তির খবর পেয়ে লিখলেন কীরাবাণী

তাঁর আরেক প্রতিবেশী লক্ষ্মী সাহা বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক। খুব ভাল ব্যবহার ওনার ৷ একদম ঘরের লোকের মতো মেশেন ৷ এখন তো শুনছি উনি পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ৷ এ তো খুবই খুশির খবর ৷ উনি তো দিনের বেশিরভাগ সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ৷ বাড়িতে মেয়েরা সেলাইয়ের কাজ শিখতে আসেন ৷ তার মধ্যেও উনি সময় পেলেই আমাদের সঙ্গে গল্প করেন ৷”

নকশিকাঁথার প্রসারে ঘটিয়ে ‘পদ্মশ্রী‘ প্রীতিকণা

সোনারপুর, 27 জানুয়ারি: সারাজীবনের কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছেন রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন তিনি (Pritikona Goswami from Bengal Receives Padma Shri) ৷ তাঁর নকশিকাঁথা শিল্পের জন্য প্রীতিকণা গোস্বামীকে এই সম্মান দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ ইতিমধ্যেই, তিনি 2001 সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের হাত থেকে হস্তকারিগরী ক্ষেত্রে জাতীয় পুুরস্কার পেয়েছেন ‘নকশিকাঁথা’র কাজের জন্য ৷ এবার ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দিচ্ছে ৷

মাত্র 10 বছর বয়সে বাবাকে হারান প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ 5 বোনকে নিয়ে কোনও মতে সংসার টানতেন মা ৷ সেই সময় প্রীতিকণা গোস্বামীকে তাঁর জেঠু নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ মাধ্যমিক দেওয়ার পর বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন তিনি ৷ তার আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ শিখতেন ৷ মূলত বান্ধবী রমা দাসের থেকে সেলাইয়ের কাজের উৎসাহ পান ৷ সেই সূত্রেই পীতাম্বরি নামে এক সংস্থার হয়ে সেলাইয়ের কাজ করতেন ৷

1977 সালে পড়াশোনা চলাকালীন বিয়ে করেন ৷ সিটি কলেজে ভরতিও হয়েছিলেন ৷ তবে, সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি ৷ তবে, নকশিকাঁথার সেলাইয়ের কাজ থামাননি ৷ 1990 সালে পশ্চিমবঙ্গ ক্রাফ্ট কাউন্সিল থেকে নকশিকাঁথার সেলাইয়ের বরাত পান ৷ তাঁর সেলাইয়ের কাজে খুশি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ক্রাফ্ট কাউন্সিল একটি বিভাগ খোলেন ৷ যার নাম দেওয়া হয় ‘কমলাদেবী কাঁথা সেন্টার’ ৷ সেখানে তাঁকে সেলাই শেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ তিনি আজও সেই সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন ৷

2001 সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ উল্লেখ্য, তাঁর কাকা নিখিল ঘোষ সঙ্গীতে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন ৷ প্রীতিকণা গোস্বামী নকশীকাঁথার কাজ শেখাতে বিদেশেও গিয়েছেন ৷ প্রীতিকণা দেবীর এই সাফল্যে খুশি তাঁর শিক্ষার্থী থেকে প্রতিবেশীরা ৷ সুমতি সাহা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রীতিকণা কাকিমা খুবই ভালো মানুষ ৷ নকশিকাঁথার বুনোনে ওনার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে ৷ তাঁর এই স্বীকৃতিতে খুবই খুশি হয়েছি আমরা ৷ খবরটা শোনার পর থেকে খুব আনন্দ হচ্ছে ৷ চেষ্টা থাকলে যে বয়সটা কোনও ব্যাপার নয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷’’

আরও পড়ুন: 'সম্মানিত!' পদ্মশ্রী প্রাপ্তির খবর পেয়ে লিখলেন কীরাবাণী

তাঁর আরেক প্রতিবেশী লক্ষ্মী সাহা বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক। খুব ভাল ব্যবহার ওনার ৷ একদম ঘরের লোকের মতো মেশেন ৷ এখন তো শুনছি উনি পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ৷ এ তো খুবই খুশির খবর ৷ উনি তো দিনের বেশিরভাগ সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ৷ বাড়িতে মেয়েরা সেলাইয়ের কাজ শিখতে আসেন ৷ তার মধ্যেও উনি সময় পেলেই আমাদের সঙ্গে গল্প করেন ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.