গঙ্গাসাগর, 7 অগস্ট: পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে ৷ কিন্তু গঙ্গাসাগরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এখনও প্রকাশ্যে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার জামাই স্বপন কুমার প্রধানের বিরুদ্ধে সেখানে একাধিক জায়গায় পড়ল পোস্টার। আর এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। পোস্টারে লেখা, একজন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়ে কয়েকদিনের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কী করে হয়? পোস্টারকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে।
মন্ত্রীর জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে গঙ্গাসাগরজুড়ে পোস্টার দিলেন পুরনো তৃণমূল কর্মীরা। কারণ পোস্টারের নীচে বড় বড় অক্ষরের লেখা রয়েছে সৌজন্যে পুরনো তৃণমূল কর্মী। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর জামাই স্বপন কুমার প্রধান সাগর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি। গঙ্গাসাগরের বিজেপি নেতা বিপ্লব নায়েক তিনি বলেন, "গঙ্গাসাগরে পোস্টার বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও গঙ্গাসাগরে বেশ কিছু জায়গায় মাননীয় মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার জামাইয়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। এবার সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কীভাবে কয়েক দিনের মধ্যে হয়ে গেল সেই প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন জমির দলিলের ও জমির নকশা দিয়ে একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর স্ত্রী
তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই মাননীয় মন্ত্রী এই পুরো বিষয়টি তদন্ত করুক ৷ না-হলে আমরা ভাবব এই জমি কেনাবেচার সঙ্গে মন্ত্রীর মদত রয়েছে।" এ বিষয়ে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বিবেক কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, "পোস্টারে লেখা আছে, মন্ত্রীর জামাই কিছুদিনের মধ্যে কীভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হল ৷ কিন্তু সেই পোস্টারের নীচে রয়েছে সৌজন্যে পুরনো তৃণমূল কর্মী ৷" এ নিয়ে জেলা পরিষদের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য সন্দীপ কুমার পাত্র জানান, রাতে কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তা জানি না। কিন্তু পোস্টারে লেখা রয়েছে যে পুরনো তৃণমূল কর্মী ৷ এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাগর বিধানসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নেই।"
আরও পড়ুন: দুর্যোগের আশঙ্কায় সাগর ও সুন্দরবনে নদী বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা