কাকদ্বীপ, 11 জুলাই : সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে ছোট ইলিশ ধরা । আজ প্রায় কয়েকশো কেজি ছোট ইলিশ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সুন্দরবন পুলিশ কাকদ্বীপে 117 নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বেশ কিছু মাছের গাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় । তল্লাশি চালানোর সময় ছোট ইলিশ বোঝাই একটি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ । উদ্ধার করা হয় কয়েকশো কেজি ছোট ইলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে ট্রাকের চালককে ৷
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পায় নামখানা বন্দর থেকে একটি ছোট ইলিশ বোঝাই ট্রাক ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজারে যাচ্ছে ৷ সেই সময় কাকদ্বীপের পাকারপোলের কাছে ট্রাকটিকে আটক করে পুলিশ । ওই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হলে দেখা যায় তাতে 26 ক্রেট ইলিশ রয়েছে ৷ সবই ছোট আকারের ইলিশ মাছ । প্রত্যেকটি ইলিশ মাছের ওজন 100 থেকে 150 গ্রাম ৷ তৎক্ষণাত ট্রাকটিকে বাজেয়াপ্ত করে তার চালককে গ্রেফতার করা হয় ।
দক্ষিণ 24 পরগনার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত কুমার প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘এদিনই এফ বি শঙ্খপ্রদীপ নামের একটি ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে ওই ছোট ইলিশ ধরে নামখানার ঘাটে আসে । সেখান থেকেই ট্রাকে বোঝাই করে ইলিশগুলি ডায়মন্ড হারবারের দিকে আসছিল । সবই 100 থেকে 150 গ্রাম ওজনের মাছ ৷’’ প্রায় কয়েকশো কেজি ওজনের ছোট ইলিশ ধরা পড়েছে বলে জানান তিনি । ছোট ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ট্রলার মালিক কাকদ্বীপের বাসিন্দা লক্ষ্মণ দাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে । বাজেয়াপ্ত ওই ইলিশের কিছু পরিমাণ পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার কয়েকটি বৃদ্ধাবাসে । বাকি ইলিশ মাছ নিলাম করে দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন : এখনও আসেনি মরশুমের ইলিশ, জামাই ষষ্ঠীর পরদিনও বাজার চড়া
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, বিভিন্ন ঘাটে প্রায় এক হাজার টনের মত ছোট ইলিশ নিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার ঢোকে বলে তাঁদের কাছে খবর আসে । পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মাত্র এক টন ছোট ইলিশ । সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবীরা এই ছোট ইলিশ ধরার মতো জঘন্য কাজ করছে বলে তিনি জানান ৷ পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিজন মাইতি ।
উল্লেখ্য সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী 23 সেন্টিমিটার এবং 500 গ্রাম ওজনের নীচে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ বেআইনি । সরকারি সেই নির্দেশ অমান্য করে এদিন 6-7 সেন্টিমিটারের এত ছোট ইলিশ সমুদ্র থেকে ধরে আনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷