পাথরপ্রতিমা, 14 সেপ্টেম্বর : পাথরপ্রতিমা থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিল ট্রলার ভর্তি কাপড় ৷ সন্দেহ হওয়ায় সোমবার রাতে সুন্দরবনের গোবদিয়া নদীর পাথরপ্রতিমা শ্মশানঘাটের কাছ থেকে দু‘টি ট্রলারকে আটক করে পুলিশ ৷ যার মধ্যে ছিল বিপুল পরিমাণ কাপড় ৷ প্রায় 6 কোটি টাকার কাপড় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় দু‘জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত একজন সুদর্শন ওঝা স্থানীয় রামগঙ্গার বাসিন্দা ৷ ট্রলার দু‘টিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুটি ট্রলারের মাঝিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। একটি ট্রলারের নাম 'জয় মা কালী' হলেও অন্য ট্রলারটির নাম জানা যায়নি।
ট্রলার দু‘টি কোথাকার এবং মালিক কে, তা জানার জন্য মৎস দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। দু‘টি ট্রলারের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে ৪১২টি বস্তা ভর্তি প্রায় ৩০ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের কাপড় উদ্ধার করা হয় ৷ বাজেয়াপ্ত কাপড়ের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার বেশি বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতকে মঙ্গলবার দুপুরে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। এই আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের জাল অনেক বড় বলে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন : শিকল ছাড়া উপায় নেই, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের সুস্থতার আশায় পরিবার
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে কাছে থেকে বাংলাদেশের পথে পাচার করার সময় একটি ট্রলারকে বাজেয়াপ্ত করেছিল শুল্ক দফতর। সুন্দরবন পুলিশ জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, "জলপথে টহলদারি দেওয়ার সময় পাথরপ্রতিমা কাছে দুটি ট্রলার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা । সেই সময় ট্রলারের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা সদুত্তর পায়নি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। দু‘টি ট্রলারে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক কাপড় উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় দু‘জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে বেশ কয়েক জন পলাতক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের এদিন কাকদ্বীপ মহাকুমার আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ।’’