সুন্দরবন, 20 মে: ভরা কোটালের সময় সুন্দরবনের বুকে আছড়ে পড়েছিল সর্বনাশা আয়লা । আবার সেই ভরা কোটালেই সুন্দরবনে আছড়ে পড়ছে আমফান । ফলে সময় যত গড়াচ্ছে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের বাসিন্দারা । ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় দু লাখ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে । আরও বহু মানুষকে ত্রাণশিবিরে আনা হবে ।
আজ বিকেল চারটে থেকে ভরা কোটাল শুরু হয়েছে । আর এই ভরা কোটালের সময় সুন্দরবনের সমস্ত নদীগুলোতে প্রায় উপচে পড়া জল থাকে । আয়লার সময়ও ভরা কোটাল ছিল । ফলে একদিকে কোটালের জল আর তার উপর প্রচন্ড হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সুন্দরবনের নদী বাঁধ । এবারও আয়লার মতন অবস্থা বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের । আয়লার সময় চোখের সামনে বহু মানুষের মৃত্যু দেখেছে সুন্দরবনের মানুষজন । আবারও সেই স্মৃতি ফিরে আসার আশঙ্কায় সময় গুনছেন তাঁরা ।
সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বহু নদী । নদীমাতৃক অঞ্চল হওয়ায় এখানকার মানুষ বছরে দুবার ধান চাষের পাশাপাশি মাছ, কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে । কিন্তু আয়লার সময় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদী বাঁধ ভেঙে পড়ায় নোনা জল ঢুকে গিয়েছিল গ্রামে । তাতে একদিকে যেমন চাষের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তেমনই সমস্যায় পড়েছিলেন কয়েক লাখ সুন্দরবনবাসী ।
তবে 2009 সালে আয়লার সময় উন্নত পরিকাঠামো ছিল না । বর্তমানে সুন্দরবনে অনেক নদী বাঁধ কংক্রিটের করা হয়েছে । এর পাশাপাশি পরিকাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে । 2009 সালে চোখের সামনে এলাকায় আয়লার তাণ্ডব দেখেছিলেন গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কৈলাস বিশ্বাস । সেই আতঙ্ক ফের আসতে বলে মনে করছেন তিনি ।