কুলতলি, 23 সেপ্টেম্বর: দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর ও কুলতলি এই দুই অঞ্চলের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে পিয়ালী নদী ৷ যে নদী পারাপার করতে দুই পাড়ের মানুষজনের ভরসা দাঁড়বিহীন ডিঙি নৌকা ৷ অভিযোগ নদীর দুই পাড়ে বাঁধা দড়ি টেনে নদীর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নৌকা পারাপার করে ৷ তাও আবার কোনও মাঝি নেই ৷ যাত্রীরাই মিলেমিশে দড়ি টেনে নৌকা এক পার থেকে আরেক পারে নিয়ে যান ৷ এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ ৷
পিয়ালী নদীর একপ্রান্তে রয়েছে জয়নগর থানা এলাকার চন্দনেশ্বর পঞ্চায়েত ৷ আর অন্যপ্রান্তে কুলতলি থানার মেরীগঞ্জ-1 গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ এই দুই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনকে পিয়ালী নদী পারাপার করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৷ অভিযোগ পিয়ালী নদীতে খেয়া পারাপারের জন্য কোনও ভেসেল নেই ৷ বদলে রয়েছে একটা ডিঙি নৌকা ৷ যার ভরসায় যাত্রীদেরই নৌকা এক পার থেকে অপর পারে নিয়ে যেতে হয় ৷ কারণ, নৌকা চালানোর জন্য কোনও মাঝি না থাকায়, দাঁড় নেই ৷ বদলে দুই পারে বাঁধা দড়ি টেনে নৌকা একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নিয়ে যান যাত্রীরা ৷
মূলত, কুলতলির মেরীগঞ্জ-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদেরই এই ডিঙি নৌকা ব্যবহার করতে হয় ৷ প্রায় চারশো মানুষ এই নদী পারাপার করেন ৷ সেখানে কেউ অসুস্থ হলে, গর্ভবতীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে এই ডিঙি নৌকায় করে নিয়ে যেতে হয় ৷ আর এভাবে যাতায়াতে রয়েছে সমূহ ঝুঁকি ৷ বিশেষত, বর্ষায় নদীতে স্রোত থাকলে ডিঙি নৌকা সামলানো দায় হয়ে যায় সাধারণ মানুষের পক্ষে ৷ অনেক সময় পা-পিছলে পড়েও যান লোকজন ৷
আরও পড়ুন: পলি পড়ে কমছে মুড়িগঙ্গার নাব্যতা, ভাটার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত
স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র সরদার জানান, জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই তিনি এই ব্যবস্থা দেখে আসছেন ৷ তাঁর জন্মের আগে থেকেই এই অবস্থা চলে আসছে ৷ রাস্তাঘাটের অবস্থার উন্নতি হলেও, খেয়া পারাপারের বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ গ্রামবাসীরা দাবি তুলেছেন, পিয়ালী নদীর উপরে কংক্রিটের সেতু তৈরি করতে হবে ৷ এ নিয়ে জয়নগর 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঋতুপর্ণা বিশ্বাস জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন ৷ তবে, সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর, দ্রুততার সঙ্গে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ওই জনপ্রতিনিধি ৷